২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ১৪:০৭

ফরিদপুরে কৃষক দলের সভাপতির বহিষ্কার দাবি

ফরিদপুর প্রতিনিধি

ফরিদপুরে কৃষক দলের সভাপতির বহিষ্কার দাবি

দীর্ঘদিন ধরে দলীয় কর্মকাণ্ডে নিক্রিয় থাকা, ক্ষমতাসীন দলের সঙ্গে আঁতাত করে রাজনীতি করা এবং দলীয় গঠনতন্ত্র উপেক্ষা করে বিভিন্ন কমিটি করার অভিযোগে ফরিদপুর জেলা কৃষক দলের সভাপতি ইলিয়াস আহমেদ পালকে বহিষ্কারের দাবি জানানো হয়েছে।

কৃষক দলের জেলা নেতৃবৃন্দ এক সংবাদ সম্মেলন থেকে এ দাবি জানান।

শুক্রবার বেলা সাড়ে ১০টার দিকে পুরাতন বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন জেলা কৃষক দলের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জেলা কমিটির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শাহিন হক। 

তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে দলের সভাপতির পদ আঁকড়ে থাকলেও ইলিয়াস আহমেদ পাল কোনও কর্মসূচিতে অংশ নেননি। তিনি দীর্ঘদিন ধরে ঢাকায় বসবাস করছেন। ফরিদপুরে কালে ভদ্রে এলেও নেতাকর্মীদের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ করেন না। বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি আন্দোলনে তিনি একটি কর্মসূচিও পালন করেননি।

অভিযোগে বলা হয়, তার আপন ভাই জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচনে তার ভাই সাদেকুজ্জামান মিলন পাল আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করেছেন। সেই নির্বাচনে কৃষক দলের সভাপতি হয়েও তিনি নৌকার ব্যাজ পড়ে ভোট প্রার্থনা করেছেন। তার আরেক ভাই জেলা জাকের পার্টির গুরুত্বপূর্ণ নেতা। 

ইলিয়াস আহমেদ পালের নানা বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের কারণে তাকে দল থেকে বহিষ্কারের জোর দাবি জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন থেকে বলা হয়, ক্ষমতাসীন দলের সঙ্গে আঁতাত করে তিনি রাজনীতি করছেন। বিগত দিনে কোনও আন্দোলন-সংগ্রামে তিনি মাঠে থাকেননি। এমনকি দলীয় নেতাকর্মীদের কোনও নির্দেশ দেননি। 

অভিযোগ করে আরও বলা হয়, যারা কৃষক দলকে শক্তিশালী করতে গিয়ে কিংবা আন্দোলন করতে গিয়ে হামলা-মামলার শিকার হয়েছেন তাদের কোনও সাহায্য-সহযোগিতা এমনকি কোওন খোঁজ খবরই রাখেননি তিনি।  ইলিয়াস আহমেদ পালের বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের কারণে দলের সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন, সহ-সভাপতি বারী চৌধুরী, জাহাঙ্গীর হোসেন, জাহিদ হোসেন গোপাল, যুগ্ম সম্পাদক সাইফুল ইসলাম সুমনসহ সক্রিয় বেশকিছু নেতা আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছেন।

২০১২ সালে কমিটি গঠন হবার পর একটি সভাও করতে পারেননি ইলিয়াস আহমেদ পাল। সম্প্রতি বিভিন্ন উপজেলার কৃষক দলের কমিটি ভেঙে দিয়ে তার অনুসারীদের নিয়ে পকেট কমিটি করার পাঁয়তারা চালানো হচ্ছে বলেও অভিযোগ করা হয় সংবাদ সম্মেলন থেকে।

সংবাদ সম্মেলন থেকে উপস্থিত নেতারা দৃঢ় কন্ঠে বলেন, ইলিয়াস আহমেদ পালকে ফরিদপুর জেলা কৃষক দলের সভাপতি পদ থেকে বহিষ্কার করতে হবে। তা না হলে কৃষক দলটি আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনে পরিণত করবেন ইলিয়াস পাল। সংবাদ সম্মেলন থেকে ইলিয়াস আহমেদ পালকে ফরিদপুরে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জেলা কৃষক দলের সহ-সভাপতি মারুফ হোসেন, যুগ্ম সম্পাদক কাদের শেখ, খায়রুল বাশার সবুজ, শাহিদুর রহমান শাহিদ, দুলাল মল্লিক, দফতর সম্পাদক জাহিদুজ্জামান জাহিদ, অর্থ সম্পাদক রাহাতুল ইসলাম রিংকু, আরজু মোল্যা, রেজাসহ কৃষক দলের জেলা পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।

বিডি প্রতিদিন/কালাম

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর