বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বলেছেন, ইতোমধ্যে আমরা ৯৯৯ নম্বরের মাধ্যমে কয়েক কোটি কল রিসিভ করেছি। এর মধ্যে ৫৮ লাখ মানুষকে সহযোগিতা করার চেষ্টা করেছি। আমাদের প্রতিটি ডেস্ক সার্বক্ষণিক ব্যস্ত থাকে। সেখানে কর্মরতরা সবাই কলের সেবা দিতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে থাকেন।
আজ বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ ফতুল্লার পঞ্চবটীতে ‘কমিউনিটি ব্যাংক পঞ্চবটি শাখার উদ্বোধন’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ তথ্য প্রদান করেন
তিনি আরও বলেন, জনগণকে নিয়ে দেশের সোশ্যাল ক্রাইম দূর করতে আমরা জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯ খুলেছি। এটি চালু হওয়ার পর দু’বছরের মধ্যে আমরা পুলিশি, অ্যাম্বুলেন্স ও ফায়ার সার্ভিসের সেবা দিতে পারছি। ইতোমধ্যে অনেকগুলো অপরাধ হওয়ার আগেই আমরা তা উদ্ঘাটন করতে পেরেছি। জনসেবায় নানা কর্মকাণ্ডে আমাদের ১০০টি ডেস্ক রয়েছে। যেটি আমরা ৫০০ সেন্টারে উন্নিত করতে চেষ্টা করছি।
তিনি বলেন, প্রতিদিনই দেশের আনাচে-কানাচে উন্নয়নের জোয়ার বইছে। এজন্য আমরা আপনাদের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে দিতে চাই আমাদের সেবা। বছরখানেকের মধ্যে দেশের সব জেলায় প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কাছে পৌঁছে যাবে আমাদের সেবা। আপনাদের জানমালের নিরাপত্তার জন্য আমাদের ওপর নির্ভর করেন। আপনাদের সম্পদ আমানতের নিরাপত্তা দেওয়াও আমাদের দায়িত্ব। যদি এই দায়িত্ব আমাদের দিয়ে আপনারা এ ব্যাংকের মাধ্যমে আসেন তাহলে আপনাদের আমানতের নিরাপত্তা দেবো। আপনার আমানত আমাদের কাছে সুরক্ষিত থাকবে সে ব্যাপারে আপনারা নিশ্চিত থাকতে পারেন।
আইজিপি বলেন, আমাদের কল্যাণ ট্রাস্টের প্রতিবছর যেসব লভ্যাংশ আসে। সেখান থেকে আমাদের লক্ষাধিক পুলিশ সদস্যদের পরিবারের কাছে তা বুঝিয়ে দেওয়া হয়। এখানে একজন কনস্টেবলের যত পরিমাণ টাকার শেয়ার রয়েছে। আইজিপিরও তত পরিমাণ শেয়ার রয়েছে। এটি একটি অন্যরকম দৃষ্টান্ত।
পুলিশের মহাপরিদর্শক বলেন, আমরা যেভাবে জঙ্গিবাদ রুখে দিয়েছি ঠিক তেমনি মাদকের বিরুদ্ধেও আমরা লড়াইয়ে নেমেছি। একজন মাদকসেবী শুধু তার পরিবার, সমাজের জন্য বোঝা নয় দেশের জন্যও বোঝা। মাদকের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী যেভাবে নির্দেশনা দিচ্ছেন সেখানেই আমরা কাজ করছি। এটি নিয়ে সামনে আরও বেশি কঠোর হবো আমরা। ইতোমধ্যে যারা মাদকসেবী হয়ে গেছেন তাদের পুনর্বাসনের জন্য চেষ্টা করছি আমরা।
আইজিপি বলেন, পুলিশের সদস্যরা দেশের জন্য যেসব ভূমিকা রাখছেন, তার জন্য দেশবাসী আজ বাংলাদেশ পুলিশকে নিয়ে গর্বত। বাংলাদেশ পুলিশকে নিয়ে এ কমিউনিটি ব্যাংক। বাংলাদেশ পুলিশ জনগণের পুলিশ এবং এ ব্যাংকটিও জনগণের ও আপনার। মাত্র দু’ মাস আগে এ ব্যাংকের উদ্বোধন করা হয়েছিল। এ দু’মাসে আমরা ছয়টি শাখার অনুমোদন পেয়েছি ও উদ্বোধন করেছি। প্রতিটি উদ্বোধনেই এত মানুষ ব্যবসায়ীরা ছিলেন, যা এর আগে কখনো দেখা যায়নি। এ ব্যাংকটি আপনাদের ব্যাংক আর আমরা আপনাদের জন্য।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক জসিমউদ্দিন, জেলা পুলিশ সুপার (ভারপ্রাপ্ত) মনিরুল ইসলাম, এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক প্রবীর সাহা প্রমুখ।
বিডি-প্রতিদিন/ সিফাত আব্দুল্লাহ