বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার
শিরোনাম
- চীন-নেপাল সীমান্তে ভয়াবহ বন্যা, নিখোঁজ ২৮
- ইছামতি নদীর তীরে নবজাতকের মরদেহ উদ্ধার
- টিসিবি কার্ডসহ বিভিন্ন দাবিতে রংপুরে ভূমিহীনদের মিছিল সমাবেশ
- আমরা এখনও স্বপদে বহাল, বহিষ্কারের এখতিয়ার নেই : আনিসুল মাহমুদ
- জুলাই স্মরণে তরুণদের অংশগ্রহণে আইডিয়া প্রতিযোগিতা
- বগুড়ায় প্রাইভেট কারে মিলল হেরোইন, গ্রেপ্তার ৩
- সচিবালয়, যমুনা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় সভা-সমাবেশ-মিছিল নিষিদ্ধ: ডিএমপি
- রাজধানীতে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ২১১০ মামলা
- চাঁদপুরে ভোক্তার অভিযানে জরিমানা
- আশুগঞ্জে সাজাপ্রাপ্ত ৩ চীনা নাগরিক জামিনে মুক্ত
- মালয়েশিয়ায় জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে ৪ প্রবাসী রিমান্ডে
- বিভিন্ন দাবিতে বগুড়ায় স্বাস্থ্য সহকারীদের অবস্থান কর্মসূচি
- চীন থেকে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নিয়েছে ইরান: রিপোর্ট
- আশুগঞ্জে ইয়াবাসহ ‘পাখি জসিম’ গ্রেফতার
- সিদ্ধিরগঞ্জে চোরাই তেলের আস্তানায় যৌথ বাহিনীর অভিযান
- বিশ্বের শীর্ষ ১০ ধনীর তালিকায় নেই বিল গেটস
- ইউরো গ্রহণের চূড়ান্ত অনুমোদন পেল বুলগেরিয়া
- প্রশাসনিক স্থবিরতার কারণেই 'মব কালচার' বৃদ্ধি পাচ্ছে: রিজভী
- তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বিলুপ্তির বিধান বাতিলের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ
- ভারতীয় ধনকুবেরদের মধ্যে বাড়ছে দেশত্যাগের প্রবণতা
লিটনের গঠন করা প্রস্তুতি কমিটির বিরোধীতায় ফারুক চৌধুরী
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী:
অনলাইন ভার্সন

রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন সফল করতে কেন্দ্রীয় নেতা এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের গঠন করে দেওয়া কমিটির বিরোধীতা করেছেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ওমর ফারুক চৌধুরী। বৃহস্পতিবার জেলা কমিটির সভায় তিনি বিরোধীতা করেন। তবে দুইজন তাকে সমর্থন দিলেও উপস্থিত অন্য সদস্যরা লিটনের পক্ষে সমর্থন জানান।
সম্মেলন উপলক্ষে গত ১৮ নভেম্বর জেলা আওয়ামী লীগের জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনের সমন্বয়ক হিসেবে দায়িত্বে থাকা নগরের সভাপতি এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন ওই সভা ডেকেছিলেন। জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এ সভায় নেতাদের মতামতের প্রেক্ষিতে তিনিই সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি গঠন করে দেন। এতে আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মেরাজ উদ্দিন মোল্লা।
এই সভায় ওমর ফারুক চৌধুরী অংশ নেননি। পরে গত ২৩ নভেম্বর জেলা শিল্পকলা অ্যাকাডেমি মিলনায়তনে সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটিরও সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানেও উপস্থিত হননি ওমর ফারুক চৌধুরী। এ নিয়ে সমালোচনার মুখে বৃহস্পতিবার সকালে দলীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় উপস্থিত হন তিনি। শুধু নেতাদের অংশগ্রহণে রুদ্ধদ্বার এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানেই তিনি এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের গঠন করে দেওয়া সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির বিরোধীতা করেন। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে খায়রুজ্জামান লিটনও উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নুরুল ইসলাম ঠান্ডু, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি বেগম আখতার জাহান, জিনাতুন নেসা তালুকদার, সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক মেরাজ উদ্দিন মোল্লা, সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য আদিবা আঞ্জুম মিতা প্রমুখ।
সভায় উপস্থিত ছিলেন এমন একাধিক সূত্র জানিয়েছে, সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির গঠন প্রক্রিয়া নিয়ে প্রথমে আপত্তি তোলেন ওমর ফারুক চৌধুরীর অনুসারী জেলা আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক এজাজুল হক মানু। এরপর সভার সভাপতির বক্তব্যে ওমর ফারুক চৌধুরী তাকে পূর্ণ সমর্থন করেন। বলেন, তার অনুপস্থিতিতে গঠনতন্ত্রের বাইরে এই প্রস্তুতি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এ সময় কার্যালয়ের ভিতর হৈ চৈ শুরু হয়। এ সময় সভার সঞ্চালক জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ, সভাপতি ওমর ফারুক চৌধুরীর কাছে প্রশ্ন রাখেন, দীর্ঘ সময় ধরেই আপনি নানারকম কর্মকাণ্ড করে যাচ্ছেন। এর কতটি দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী হচ্ছে? আর সম্মেলনের সমন্বয়ক সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনও প্রস্তুতি কমিটি গঠন ঠিক হয়েছে বলে মত দেন। ফলে বিরোধীতা করলেও শেষ পর্যন্ত পাত্তা পাননি সভাপতি ওমর ফারুক চৌধুরী।
সম্মেলনের সমন্বয়ক এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, ফারুক চৌধুরী প্রস্তুতি কমিটি নিয়ে আপত্তি তুলেছিলেন। কিন্তু এটা তো প্রত্যেক সম্মেলনেই হয়। তাই এ বিষয়ে আপত্তি তোলা ঠিক হয়নি। আর তার পক্ষে তো মানু (আইন বিষয়ক সম্পাদক এজাজুল হক মানু) আর চঞ্চল (যুগ্মসম্পাদক কামরুজ্জামান চঞ্চল) ছাড়া কেউ নেই। মেজরিটিতে তিনি টেকেননি।
বিরোধীতা করা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ওমর ফারুক চৌধুরী বলেন, সাংগঠনিক সভায় নানা বিষয়ে যুক্তি-তর্ক থাকবেই। এতে কে হারল, কে জিতল সেটা বড় বিষয় নয়।
উল্লেখ্য, রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনের এমপি ওমর ফারুক চৌধুরীর বিরুদ্ধে মাদকের পৃষ্ঠপোষকতা, জামায়াত-বিএনপির নেতাদের দলে ভেড়ানোসহ নানা বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের অভিযোগ আছে। এসব কারণে তার সঙ্গে সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদের দূরত্ব বেড়ে যায়। এর ফলে প্রায় আড়াই বছর দলীয় কার্যালয়ে যাননি ফারুক চৌধুরী। অংশ নেননি কোনো কর্মসূচিতেও। আসাদ একাই নিজের মতো করে নেতাকর্মীদের নিয়ে দলীয় কর্মসূচি পালন করতেন। সম্প্রতি এ দুই নেতার বিরোধ প্রকাশ্যে আসে। তারা বক্তব্য দেন একে-অপরের বিরুদ্ধে।
এসবের প্রেক্ষিতে গত ৮ নভেম্বর দুই নেতাকে ডাকা হয় কেন্দ্রে। সেখানেই জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনের দিন ঠিক করে দেয়া হয়। এবার আসাদ সভাপতি প্রার্থী হচ্ছেন। প্রার্থী থাকছেন ফারুক চৌধুরীও। জেলা আওয়ামী লীগের প্রায় সব নেতা চাচ্ছেন কাউন্সিলরদের ভোটের মাধ্যমেই নেতৃত্ব নির্বাচন হোক। সে অনুযায়ীই সম্মেলনের প্রস্তুতি নিচ্ছে সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি।
উল্লেখ্য, আগামী ১২ ডিসেম্বর রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন।
এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর

টানা ২ বছর ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়লেও মজুদ শেষ হবে না, হুঁশিয়ারি ইরানি কমান্ডারের
৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গাজা গণহত্যায় অংশগ্রহণকারী ইসরায়েলি সেনার আত্মহত্যা; ‘শুধুই লাশের গন্ধ পেতেন’
৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বাংলাদেশসহ ১৪ দেশে শুল্কের সময়সীমা ‘চূড়ান্ত নয়’, দর-কষাকষির ইঙ্গিত ট্রাম্পের
৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম