রাজধানী ও আশপাশের এলাকায় সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালানোর আড়ালে ছিনতাই ও খুনের কার্যক্রম চালিয়ে আসছে দুটি চক্র। তাদের হাতে মাত্র ২৫ দিনে ৪টি খুনের ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় চক্র দুটির তিন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তারা ওই চারটি খুনের দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দিও দিয়েছে।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মিজানুর রহমানকে হত্যার তদন্তে নেমে পুলিশ এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্যের সন্ধান পেয়েছে।
এর মধ্যে গত ৬ জানুয়ারির রাতে হত্যা করা হয় মিজানুর রহমানকে। শেওড়ার বাসায় যেতে কাকলিতে অপেক্ষা করছিলেন তিনি। সামনে এসে দাঁড়ায় একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা। যাতে আগে থেকেই বসা ছিল দুই যাত্রী, তাদের সঙ্গী হন মিজানুরও। কুর্মিটোলা হাসপাতালের সামনে আসার পর পরিচয় প্রকাশ পায় সহযাত্রীদের। চলে মিজানের মুঠোফোন ও টাকা ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা। বাধা দিলে গলায় গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয় মিজানকে। পরে মরদেহ ফেলে দেয়া হয় কারওয়ান বাজার রেলক্রসিং বরাবর উড়ালসড়কের ওপর।
মিজান হত্যার তদন্তে নেমে প্রথমে নুরুল ইসলাম নামে এক সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালককে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে তার দেয়া তথ্যে গ্রেফতার হয় আরও দুই ছিনতাইকারী আবদুল্লাহ ও জালাল। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ থেকে মিলে চাঞ্চল্যকর সব তথ্য। অটোরিকশা চালালেও তাদের মূল কাজ ছিনতাই।
ঢাকা মহানগর পুলিশ উপ-পুলিশ কমিশনার বিপ্লব বিজয় তালুকদার গণমাধ্যমকে বলেন, চক্রের সদস্যরা সিএনজিতে তোলার পর প্রথমে ভুক্তভোগীকে যা আছে সবকিছু দিয়ে দিতে বলে। কিন্তু যারা দিতে চায় না তাদেরকে গলায় গামছা পেঁছিয়ে হত্যা করে ফেলে দেয়।
গ্রেফতারকৃত তিনজন গত ৫-৬ মাসে ৫ শতাধিক ছিনতাইয়ের সাথে জড়িত থাকার কথা পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে।
এদিকে, পুলিশের কাছে অজ্ঞান বা অর্ধমৃত অবস্থায় অন্তত ৩০ জনকে বিভিন্ন ফ্লাইওভার বা নির্জন এলাকায় অটোরিকশা থেকে ফেলে দেওয়ার তথ্য আছে। যাদের ৮ থেকে ১০ জন বাস বা ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে মারা গেছেন।
বিডি-প্রতিদিন/মাহবুব