বাংলাদেশ-ভারতের সু-সম্পর্কের কারণেই কাশ্মীর ইস্যুকে আমরা শুধুই ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় ভাবতে চাই এবং এর ভেতরেই রাখতে চাই। কিন্তু কিছু পাকিস্তানপন্থী ব্যক্তি কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে দেশের একটি বিশেষ দূতাবাসের ব্যক্তিবর্গের যোগসাজশে বাংলাদেশে ভারতবিদ্বেষী মনোভাব তৈরি করছে। এটি তরান্বিত হলে সময়ের ব্যবধানে দুই দেশের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের ক্ষেত্রে অন্তরায় সৃষ্টি হতে পারে।
বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বেশ কয়েকটি সংগঠনের যৌথ আয়োজিত মানববন্ধনে বক্তারা এসব কথা বলেন।
‘কাশ্মীর সমস্যা ভারতের অভ্যন্তরীণ এবং ভারতকেই এই সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধান করতে হবে’ ব্যানারে মানববন্ধনে ইয়েস বাংলাদেশের চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেনের সভাপতিত্বে সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ন্যাপের মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া, জাতীয় মানবাধিকার সমিতির চেয়ারম্যান মঞ্জুর হোসেন ঈসা, ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি মেহেদী হাসান প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, ‘ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিলের পর হতে সবচেয়ে বেশি এবং সরাসরি উদ্বেগ দেখা যাচ্ছে ইসলামাবাদের। তাদের এই উদ্বেগের বিষয়টি তাদের বিবেচনায় যৌক্তিক বলেই তারা বলে আসছেন এবং তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে আমরা মনে করি। আর সেই কারণে আমরা বলতে চাই, কাশ্মীর ইস্যু ভারত ও পাকিস্তানের দ্বিপাক্ষিক ও অভ্যন্তরীণ বিষয় বলেই আমরা মনে করতে চাই।
অন্যদিকে, ঢাকাস্থ পাকিস্তান হাইকমিশন 'কাশ্মীর সংহতি দিবস' নামে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এই উপলক্ষে হাইকমিশনের গেটে পোস্টার সাঁটানো হয়, সেখানে ভারতের বিরুদ্ধে কাশ্মীরে নৃশংসতার অভিযোগ তোলা হয়। এরই প্রতিবাদে পাকিস্তান হাইকমিশনের সামনে আজ বিকাল ৩টায় সচেতন নাগরিক কমিটির ব্যানারে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে একটি সংগঠন।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত