রাজধানীর ডেমরা থানাধীন মাতুয়াইলের ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতালের পরিচালক জামাল হোসেনের কক্ষ থেকে এক চিকিৎসকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত সেই চিকিৎসকের নাম মোবারক হোসেন (৩৩)। গতকাল শুক্রবার সকালে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। মোবারক হোসেন ভোলার লালমোহন উপজেলার ব্যবসায়ী সোলাইমান মিয়ার ছেলে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার সকালেও চিকিৎসক মোবারক প্রো-অ্যাক্টিভ হাসপাতালে ছিলেন। দুপুরে মোবারক হোসেনকে ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতালের পরিচালক ডেকে নিয়ে যায়। এরপর থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজির পর শুক্রবার সকালে ওই হাসপাতালের পরিচালকের কক্ষে তার ঝুলন্ত লাশ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।
ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতালের মালিক ডা. এমজি ফেরদৌস বলেন, গত বৃহস্পতিবার রাত ১২টার দিকে তিনতলায় তার কক্ষে কর্মচারী আব্দুল জলিলের সঙ্গে মোবারক প্রবেশ করেন। তখন মোবারকের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। বেশ কিছু সময় তারা বসে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেন। পরে মোবারক ও জলিল বের হয়ে যান। পরিচালক জামালের কক্ষ তার কক্ষ থেকে তিনটি কক্ষ পরে।
নিহতের স্বজন মঈনুল ইসলাম জানান, চিকিৎসক মোবারক হোসেন মাতুয়াইলের প্রো-অ্যাকটিভ হাসপাতালের চিকিৎসক। তিনি অ্যানেসথেসিয়া স্পেশালিস্ট। তিনি দক্ষিণ দনিয়ার এ কে উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশের একটি বাসায় থাকতেন। তিনি ৭ মাস আগে বিয়ে করেছিলেন। আমাদের মনে হচ্ছে তাকে হত্যা করে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। আমরা এটার বিচার চাই।
এদিকে, নিহতের ভাই রুহুল আমিনসহ পরিবারের অভিযোগ, ঐ হাসপাতালের পরিচালক জামাল হোসেনের সঙ্গে আর্থিক লেনদেনের কারণে পরিকল্পিত ভাবে মোবারকে হত্যা করা হয়েছে। আমরা তার মৃত্যুতে শোকাহত। দ্রুত মোবারক হত্যার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান তারা।
ডেমরা থানার ওসি সিদ্দিকুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পর জানান, ঘটনাটি রহস্যজনক। গত বৃহস্পতিবার থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। তবে মৃতদেহের গলায় ও পায়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ঘটনার তদন্ত চলছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মিটফোর্ড হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/সিফাত আব্দুল্লাহ