বরিশালে সংক্রামন এড়াতে নানামুখি কার্যক্রম চালিয়েছে পৃথক দুটি ভ্রাম্যমাণ আদালত। সেনাবাহিনীর সহায়তায় জেলা প্রশাসনের দুই নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. নাজমুল হুদার নেতৃত্বে শনিবার নগরীর উত্তরাংশে এবং মো. মারুফ দস্তগীরের নগরীর দক্ষিনাংশ সহ সদর উপজেলার কর্নকাঠী এলাকায় অভিযান চালিয়েছে। এসময় বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির কাছ থেকে ১৩ হাজার ৪শ’ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
মো. নাজমুল হুদা জানান, করোনা সংক্রামন এড়াতে সরকারি স্বাস্থ্য বিধি উপক্ষো করে লঞ্চঘাটে অপ্রয়োজনে দোকান খোলা রেখে অনেক মানুষ আড্ডা জমানোয় দোকানের ভেতরের ২ জনকে ২শ’ করে ৪শ’ টাকা, বাজার রোডে অপ্রয়োজনীয় দোকান খোলা রাখায় ১ হাজার, পলাশপুরে স্থানীয়রা বারবার সতর্ক করার পরও পোষাকের দোকান খোলা রেখে জনসমাগম করায় ওই দোকানীকে ৬ হাজার এবং সদর রোডে চায়ের দোকান খোলা রেখে জটলা সৃষ্টি করায় ২টি দোকান থেকে ১ হাজার করে ২ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। এছাড়া করোনা এড়াতে হ্যান্ড মাইকে জনগণকে ঘরে থাকতে উদ্বুদ্ধ করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত ও সেনাবাহিনী।
অপরদিকে মো. মারুফ দস্তগীরের ভ্রাম্যমাণ আদালত চরকাউয়া খেয়াঘাটে সরকারি নির্দেশ উপেক্ষা করে খেয়া নৌকায় অনেক লোক ওঠানোয় মাঝিকে ৫শ’ টাকা, ভাটারখালে অযথা ঘরের বাইরে বের হওয়ায় এক ব্যক্তিকে ১ হাজার এবং বান্দ রোডের শেবাচিম হাসপাতালের সামনে একটি দোকান খোলা রেখে অনেক মানুষের সমাগম করায় দোকানীকে ৩ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।
এছাড়া সেনাবাহিনীর সহায়তায় মারুফ দস্তগীরের ভ্রাম্যমাণ আদালত জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে বান্দ রোড, সাগরদী, রূপাতলী, দপদপিয়া এবং কর্মকাঠী বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় করোনা সংক্রামন এড়াতে জনগণকে নিজ নিজ ঘরে থাকতে প্রচারনা চালায়।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল