ভারত থেকে ফেরা ২০৬ জন বাংলাদেশিকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে কুমিল্লার ৮টি বেসরকারি হোটেলে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। তারা সকলেই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে দেশে ফিরেছেন।
জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ ও স্বাস্থ্য বিভাগের যৌথ তত্ত্বাবধান এবং কঠোর নজরদারির মাধ্যমে তাদের কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করা হচ্ছে।
জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, গত চার দিনে ভারত থেকে আসা প্রত্যেকেরই করোনাভাইরাস পরীক্ষা করানো হচ্ছে। তবে এদের মধ্যে এখন পর্যন্ত কারও করোনা পজিটিভ পাওয়া যায়নি। তবে এদের সবাইকে বাধ্যতামূলক ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইন পালন করতে হবে।
শনিবার সন্ধ্যায় কুমিল্লা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবু সাঈদ বলেন, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান স্যারের সার্বিক নির্দেশনায় কঠোর নজরদারির মাধ্যমে ভারত ফেরতদের কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করা হচ্ছে।
কোয়ারেন্টাইনে থাকা ব্যক্তিরা কুমিল্লা, ফেনী, চাঁদপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও নেয়াখালীসহ পার্শ্ববর্তী জেলার বাসিন্দা। ভারত থেকে আসা কেউ এখনো পর্যন্ত করোনা পজেটিভ শনাক্ত হননি। তবে সবাইকে সতর্ক থাকার অনুরোধ জানানো হয়েছে। এদের সার্বিক বিষয় দেখার জন্য ৪ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও স্বাস্থ্য কর্মকর্তা রয়েছেন।
যেসব স্থানে ভারত ফেরতদের কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে সেগুলো হলো- মেডিকেল কোয়ারেন্টাইন ১৩ জন, হোটেল টোকিওতে ৪৭ জন, হোটেল জমজমে ৫০ জন, ময়নামতি (বাগিচাগাঁও) ২০ জন, হোটেল আল ফালাহ ২০ জন, রেড রুফ ইন ১৯ জন, হোটেল ভিক্টোরি ১৫ জন ও হোটেল ময়নামতি (আলেখারচর) ২২ জন।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত