রংপুরের মিঠাপুকুরে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ফলে ভেঙে পড়ার উপক্রম হয়ে পড়েছে বলদীপুকুর ব্যাপ্টিস্ট সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়। স্থানীয়দের প্রতিবাদের মুখেও বন্ধ হয়নি অবৈধ বালু উত্তোলন। স্থান বদল করে চলছে বালু উত্তোলন। ওই এলাকার কয়েকজন প্রভাবশালী মিলে অবৈধ বালু উত্তোলনের সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছেন। প্রশাসন কয়েক বার ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করলেও রাতের আঁধারে বালু উত্তোলন করছেন তারা।
জানা গেছে, উপজেলার রাণীপুকুর ইউনিয়নের বলদীপুকুর ব্যাপ্টিস্ট সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করেছে একটি প্রতিষ্ঠান। তারা ওই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে গভীরভাবে বালু উত্তোলন শেষ করে, বলদীপুকুর উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশে ফসলী জমি হতে পুনরায় উত্তোলন শুরু করেছেন। স্থানীয়রা বাধা দিলেও কোন তোয়াক্কা করছেন না প্রভাবশালীরা। অপরদিকে, মোলং বাজারের পাশে হাবিবপুর গ্রামে আব্দুল হাকিম মিয়ার জমি হতে বালু উত্তোলন শুরু হয়েছে। সেখানে স্ক্যাভেটর মেশিন দিয়ে অবৈধ বালু উত্তোলন করা হচ্ছে।
স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরে বালু উত্তোলনের ফলে ইতোমধ্যে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে বলদীপুকুর ব্যাপ্টিস্ট সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়টি। এখন স্থান পরিবর্তন করে বলদীপুকুর উচ্চ বিদ্যালয়ের দক্ষিণ পাশে মমিনপুর গ্রামে ফসলী জমি হতে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। এরফলে বলদীপুকুর উচ্চ বিদ্যালয় ও রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকসহ আশপাশের বাড়িঘর ভাঙনের চরম হুমকির মুখে পড়েছে। ১০ চাকার ড্রাম ট্রাক চলাচলের কারণে রাস্তাঘাট ফেটে চৌচির হয়ে গেছে। এর প্রতিবাদ করেও রক্ষা করা যাচ্ছেনা ফসলী জমিগুলো।
রাণীপুকুর বিট পুলিশিংয়ের উপ-পরিদর্শক (এসআই) রফিকুল ইসলাম বলেন, ১০ চাকার ড্রাম দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ফলে রাস্তাঘাট ভেঙে যাচ্ছে। এলাকাবাসীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে আমি ট্রাকগুলো আটক করেছিলাম। কিন্তু রাণীপুকুর ভূমি কার্যালয়ের অসহযোগীতার কারণে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছি।
রাণীপুকুর ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা রনজিৎ কুমার রায় বলেন, ইতোপূর্বে ওই স্থানে এসিল্যান্ড ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেছিলেন। কিন্তু, এরপরও তারা বালু উত্তোলন করছে বলে শুনেছি। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মামুন ভূঁইয়া বলেন, এলাকাবাসী এ ব্যাপারে কোনো লিখিত অভিযোগ করেনি। বিষয়টি খোঁজ খবর নিয়ে বালু উত্তোলন বন্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর