ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ এর প্রভাবে জানমালের ক্ষতি কমাতে প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে বরিশাল বিভাগীয় ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিপি)। এছাড়া বিভাগীয় ও জেলা প্রশাসন এবং উপজেলা প্রশাসনও যাবতীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে।
মঙ্গলবার সকাল ১১টায় নগরীর ভাটারখাল এলাকায় কীর্তনখোলা নদীর তীরে সিপিপি কার্যালয়ে স্বেচ্ছাসেবকদের নিয়ে প্রস্তুতি সভা করেন সিপিপি বরিশাল অঞ্চলের উপ-পরিচালক শাহাবুদ্দিন মিয়া।
সভা শেষে তিনি জানান, বরিশাল বিভাগে ৩৩ হাজার ৪শ’ স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রাখা হয়েছে। আবহাওয়া সংকেত ৪ নম্বর হলে জনগণকে নিরাপদ আশ্রয়ে যওয়ার জন্য তারা পতাকা উত্তোলন ও মাইকিং করবেন।
তিনি আরও জানান, ইতিমধ্যে ‘ইয়াস’ এর প্রভাবে পটুয়াখালী জেলার রাঙ্গাবালী ও গলাচিপা এলাকায় স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৩ থেকে ৪ ফুট পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এদিকে বরিশালের কীর্তনখোলা নদীসহ আশপাশের এলাকার সকল নদীর পানি স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে কিছুটা বেড়েছে। বিরাজ করছে গুমোট আবহাওয়া।
এর আগে আজ সকাল সাড়ে ১১টার দিকে বরিশাল এক পশলা বৃষ্টি হয়। এ সময় হালকা দমকা হাওয়া বয়ে যায়। বৃস্টি হয়েছে গতকাল সোমবার রাতেও।
অপরদিকে ঘূর্ণিঝড়ের সময় জানমালের ক্ষতি কমাতে বিভাগীয়, জেলা এবং উপজেলা প্রশাসন দফায় দফায় সভা করে প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। সকল প্রশাসন এবং জনপ্রতিনিধিদের সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। জেলায় প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৩১৬টি বিশেষায়িত সাইক্লোন শেল্টার এবং আরও ৭৫৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। সাইক্লোন শেল্টার ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জেলার ৬ লাখ ৪২ হাজার মানুষ এবং প্রায় ৩১ হাজার গবাদি পশু নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে পারবে। ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাব্য আঘাত হানার খবরে ওইসব সাইক্লোন শেল্টার ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বাথরুম-টয়লেট ব্যবহার উপযোগী এবং সুপেয় পানি ও বিদ্যুতের ব্যবস্থা, বিদ্যুৎ না থাকলে বিকল্প ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এছাড়া শুকনা খাবার এবং পানি বিশুদ্ধকরন ট্যাবলেটেরও ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানলে স্থানীয় জনগণের মাঝে বিতরণের জন্য জেলায় ৮৪ মেট্রিক টন চাল ও নগদ ১৫ লাখ টাকা রয়েছে বলে জানিয়েছেন বরিশালের জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দার।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা