স্বাস্থ্যবিধি মেনে গণপরিবহন ও যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। এ লকডাউনে কয়েক মাস বাস ও ট্রেন বন্ধ থাকার পরে চালু হলেও যাত্রীদের মাঝে বাসের চেয়ে ট্রেনে আগ্রহ বেড়েছে। রংপুর এক্সপ্রেসের আগামী ২৯ মে পর্যন্ত টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে।
যাত্রীরা জানান, ট্রেনে বাড়তি ভাড়ার কোনো ঝামেলা নেই। কাউন্টারে না এসেই অনলাইনে কেনা যায়। সবচেয়ে বড় বিষয় বয়স্ক ও নারীরা বাসের চেয়ে ট্রেনে যাতায়াতে স্বাচ্ছন্দ বোধ করেন। বিভিন্ন কারণে লকডাউনকালীন বাসে যাত্রীর সংখ্যা অনেকটাই কমেছে। তবে ট্রেনে আসন বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছেন যাত্রীরা।
রংপুর রেলস্টেশন সূত্র মতে, লকডাউন শুরু থেকেই রেলে যাত্রী সার্ভিস বন্ধ রেখে শুধুমাত্র পণ্যবাহী ট্রেন সচল রাখা হয়। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী স্বল্প পরিসরে ট্রেনে যাত্রী আনা নেওয়া করা হচ্ছে। রংপুর রেলস্টেশন থেকে শুধুমাত্র রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেন চলাচল করছে। এ ট্রেনে ১২৫টি সিট থাকলেও অর্ধেক আসন নিয়ে ট্রেন চলাচল করছে। টিকিট রেলস্টেশন কাউন্টার থেকে দেওয়া হচ্ছে না। অনলাইনেই সরবরাহ করা হচ্ছে। স্টেশন প্ল্যাটফর্মে নেই কোন ভিড়। শুধু ট্রেন এলেই দেখা মিলে কয়েকজন যাত্রীর।
রংপুর রেলস্টেশন স্টেশন মাস্টার আলমগীর হোসেন জানান, আসলে করোনাকালীন রেলে আসন অর্ধেক থাকলেও যাত্রীদের আগ্রহ বেড়েছে। আগামী ২৯ মে পর্যন্ত টিকিট নেই। সবগুলোই বিক্রি হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনেই রেল সার্ভিস গ্রহণ করছে যাত্রীরা।
রেলস্টেশনের এরকম দৃশ্যের ঠিক উল্টো চিত্র দূরপাল্লার বাস চলাচল করা রংপুর কামারপাড়া বাসস্ট্যান্ডের। বাস থাকলেও যাত্রী নেই। ২/৪ জন যাত্রী নিয়েই চলাচল করছে বাস। কাউন্টারগুলোতে হ্যান্ড স্যানেটাইজারও নেই। বাসের জন্য অপেক্ষমাণ যাত্রীদের বসতে দেওয়ার ক্ষেত্রেও নেই কোনো সামাজিক দূরুত্ব।
রংপুর বিভাগীয় ও জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক এম এ মজিদ বলেন, অনেক দিন পরিবহন বন্ধ ছিল। শ্রমিকরাও বেকার অবস্থায় ছিল। আমরা ফেডারেশনকে বলার পরে তারা সরকারের সাথে কথা বলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরিবহন চালুর ব্যবস্থা করেছে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই