করোনা দুর্যোগের কারণে নিম্ন আয়ের মানুষের অভাব কিছুতেই ছাড়ছে না। কদিন পরে ঈদুল আজহা। প্রতি ঈদে নিম্ন আয়ের দরিদ্র মানুষের ভরসা ভিজিএফ’র চাল। এবার রংপুরের ৮ উপজেলা ও ৩ পৌরসভায় ভিজিএফের চালের বরাদ্দ এসেছে ৪ লাখ ২২ হাজার ৯১৫ জনের। তবে রংপুর সিটি করপোরেশনে ভিজিএফ’র কোন প্রকার বরাদ্দ আসেনি। ভিজিএফ চাল না আসায় সিটির হতদরিদ্র মানুষ হতাশ।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন অফিস সূত্রে জানা গেছে, রংপুরের ৮ উপজেলা ও ৩টি পৌরসভায় ভিজিএফ চাল বরাদ্দ এসেছে প্রায় ৪ হাজার ৩০০ মেট্রিক টন। জনপ্রতি ১০ কেজি করে চাল দেয়া হবে। এর মধ্যে রংপুর সদর উপজেলায় ২৬ হাজার ৮৬৫ জন,পীরগাছায় ৫৪ হাজার ৭০৩ জন, মিঠাপুকুরে ৮৯ হাজার ১০১ জন, পীরগঞ্জে ৬৭ হাজার৭৫০ জন, গঙ্গাচড়া ৫০ হাজার ৫৫৮ জন, তারাগঞ্জে ২৭ হাজার ২৯৯ জন, বদরগঞ্জে ৫৫ হাজার ৬২৪ জন ও কাউনিয়া উপজেলায় ৪৪ হাজার ৮৫৪ জনকে ভিজিএফ সহায়তা দেয়া হবে।
এছাড়া হারাগাছ পৌরসভায় ১ হাজার ৫৪০, পীরগঞ্জ পৌরসভায় ১ হাজার ৫৪০ এবং বদরগঞ্জ পৌরসভায় ৩ হাজার ৮১ জনকে ভিজিএফের চাল দেয়া হবে। ভিজিএফ কার্ডধারী পরিবারের মধ্যে এই চাল বিতরণ করা হয়ে থাকে।
এর আগের বছরগুলোতে ঈদের সময় সিটি করপোরেশন এলাকার হত দরিদ্রদের ভিজিএফ চাল বিতরণ করা হত। কিন্তু সিটি করপোরেশনে ভিজিএফ’র চালের কোন বরাদ্দ না আসায় হতদরিদ্র পরিবার হতাশ। করোনার কারণে এমনিতে এই মানুষগুলোর খাদ্য কষ্ট চরম সীমায় পৌঁছেছে। আশা ছিল ঈদের আগে আগে ভিজিএফ’র চাল পাবেন কিন্তু সে আশা এখন তাদের দুরাশা হতে বসেছে। সিটিতে ভিজিএফ’র বিষয়ে সরকারিভাবে এখন পর্যন্ত কোন সিদ্ধান্ত হয়নি।
জেলা পুনর্বাসন ও ত্রাণ কর্মকর্তা আখতারুজ্জামান জানান, রংপুরের ৮ উপজেলা ও ৩ পৌরসভায় ভিজিএফয়ের চাল বিতরণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তবে সিটি করপোরেশন এলাকায় এ পর্যন্ত ভিজিএফ’র কোনো বরাদ্দ আসেনি।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর