নারায়ণগঞ্জ সাতটি থানার বিভিন্ন মসজিদে চলছে জেলা পুলিশের মসজিদ ভিত্তিক সতর্কমূলক প্রচারণা। করোনায় স্বাস্থ্য বিধি ও ঈদে সচেতন থেকে যেন মানুষ আনন্দ উপভোগ করতে পারে সে লক্ষ্যে নানা দিক নির্দেশানা দিচ্ছে সংশ্লিষ্ট থানার কর্মকর্তারা। শুক্রবার জুম্মার নামাজ ছাড়াও বিভিন্ন ওয়াক্তের নামাজে থানার ওসিরা উপস্থিত হয়ে মুসল্লীদের উদ্দেশ্যে ওই প্রচারণা চালাচ্ছে।
বিষয়টি জানিয়ে নারায়ণগঞ্জ সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি মশিউর রহমান জানান, জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জায়েদুল আলমের নির্দেশনা দিয়েছেন যে মসজিদে মসজিদে গিয়ে মুসল্লীদের সতর্ক করতে হবে। করোনাকালে ঈদ জামাতে কোলাকুলি, দল বেঁধে হাটে গমন, আড্ডা দেয়া, জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়া, লোক সমাগম এড়িয়ে চলা সাবির্ক বিষয়গুলো নিয়ে মসজিদে মুসল্লীদের উদ্দেশ্যে কথা রাখা হচ্ছে। বিশেষ করে করোনাকালে সাধারণ মানুষের পাশে বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহবান জানানো হচ্ছে। এ নিয়ে মসজিদের ইমামদেরও বিশেষ ভূমিকা পালনে অনুরোধ করা হচ্ছে।
গত এক সপ্তাহে প্রায় ৭টি মসজিদে গিয়ে এ রকম প্রচারণা চালানো হয়েছে। একই কথা জানিয়ে নারায়ণগঞ্জ ট্রাফিক এডমিন কামরুল ইসলাম জানান, মসজিদভিত্তিক প্রচারণায় করোনাকালীন কি করণীয় ও কি কি বর্জনীয় তা নিয়ে দিক নির্দেশনামূলক প্রচারণা চালানো হচ্ছে। এ নিয়ে আমরা রাস্তায় পুলিশের পক্ষ থেকে মাইকিংও করছি।
বিষয়টি জানতে চাইলে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মাদ জায়েদুল আলম জানান, এটা আমাদের দায়িত্ব। মানুষকে সচেতন করা। করোনাকালীন সময়ে কেউ কাশি, জ্বর, শ্বাস কষ্ট ও সর্দি হলে দ্রুত করোনা টেস্ট করে চিকিৎসা নিতে হবে। কেউ অসুস্থ হলে সে যেন বাইরে গিয়ে মানুষের সাথে মেলামেশা না করে। এসব বিষয়সহ স্বাস্থ্য বিধি ও ঈদে সচেতন হতে জেলার ৫টি উপজেলার সাতটি থানায় ওসিগণকে মসজিদ ভিত্তিক প্রচারণা চালাতে নির্দেশনা বাস্তাবায়ন হয়েছে এবং তা চলছে আগামীতেও চলবে।
বিডি প্রতিদিন/আল আমীন