গাজীপুরের কাপাসিয়ায় নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে এক চেয়ারম্যান প্রার্থীকে জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ ঘটনায় প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকরা ঘটনাস্থলের পরিস্থিত উত্তপ্ত করে। শনিবার বিকেল পৌনে পাঁচটার দিকে উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের নলগাঁও বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনার খবর পেয়ে কাপাসিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ কে এম গোলাম মোর্শেদ খান ও কাপাসিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এ এফ এম নাছিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এছাড়া এ ঘটনার ছবি তুলতে গিয়ে এক সাংবাদিক লাঞ্ছিত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ কে এম গোলাম মোর্শেদ খান জানান, শনিবার বিকেলে নলগাঁও গ্রামে নির্বাচন আচরণবিধি ভেঙে প্রচারণা চালাচ্ছিলেন চাঁদপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. মিজানুর রহমান সরকার। এসময় তার সমর্থকদের একটি মোটরসাইকেল মহড়া নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও কাপাসিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রুবাইয়া ইয়াসমিনের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে বন্ধ করা হয়। এছাড়া প্রার্থীকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
তিনি আরও বলেন, এসময় প্রার্থীর সাথে থাকা নেতাকর্মীরা পরিস্থিত উত্তপ্ত করে। পরে খবর পেয়ে কাপাসিয়া থানার ওসি ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এসময় এক সাংবাদিককে লাঞ্ছিত করা হয় বলে পরে স্থানীয় সাংবাদিকদের মাধ্যমে শুনতে পেয়েছি।
আহত স্থানীয় সাংবাদিক খোরশেদ আলম জানান, শনিবার বিকেলে চাঁদপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মো. মিজানুর রহমান সরকার নলগাঁও এলাকায় কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছিলেন। এসময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নির্বাচনী আরচণবিধি ভাঙের দায়ে চেয়ারম্যান প্রার্থীকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। পরে তার কর্মী-সমর্থকরা ম্যাজিস্ট্রেটের গাড়ি ঘিরে ফেলে আন্দোলন করতে থাকে।
খবর পেয়ে ওই ঘটনার দৃশ্য ধারণ করার সময় প্রার্থী মিজানুর রহমানের কর্মী সমর্থকরা তার (খোরশেদের) ওপর হামলা করে। এসময় তাকে কিলঘুষি মেরে একটি সনি ভিডিও ক্যামেরা, দু’টি স্মার্ট মোবাইল ফোন এবং পকেটে থাকা প্রায় চার হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে বলেও জানান তিনি।
হামলার বিষয়ে চাঁদপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মিজানুর রহমান জানান, হামলার ঘটনার সাথে তার কোনো লোকজন জড়িত নেই। হয়তো অন্য কেউ নির্বাচনকে প্রভাবিত করে এই হামলার ঘটনা ঘটিয়ে আমার নাম ব্যবহার করছে।
কাপাসিয়া থানার ওসি এ এফ এম নাছিম বলেন, ভ্রাম্যমাণ আদালত বসানো নিয়ে উত্তেজনা তৈরি হওয়ায় ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। পরে এসে জানতে পারি একজন সাংবাদিককে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে থানায় কেউ কোনো অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই