চেক প্রতারণার মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে কারাগারে থাকা ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ রাসেল এবং তার স্ত্রী প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে। আজ রবিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রহমান ছিদ্দিকী এ আদেশ দেন।
জানা গেছে, তাদের আদালতে হাজির হতে এর আগেই সমন জারি করেন আদালত। সেই অনুযায়ী রবিবার নির্ধারিত দিনে তারা হাজির না হওয়ায় আদালত গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। এর আগে, গত ৯ ডিসেম্বর তোফাজ্জল হোসেন নামে এক ব্যক্তি আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে ১০ জানুয়ারি তাদের আদালতে হাজির হতে সমন জারি করেন। ওইদিন তারা আদালতে হাজির না হওয়ায় ১৩ ফেব্রুয়ারি পরবর্তী তারিখ ধার্য করা হয়।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ইভ্যালি ডটকম লিমিটেডের পক্ষ থেকে বিশেষ ছাড়ে মোটরসাইকেল বিক্রির অফার অনলাইনের মাধ্যমে দেখতে পান তোফাজ্জল হোসেন নামে এক ব্যক্তি। সেই অফার দেখে ২০২১ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি এক লাখ ৪৯ হাজার ৬৩৫ টাকা পরিশোধ করে একটি মোটরসাইকেলের অর্ডার করেন। মোটরসাইকেলটি অর্ডারের ৪৫ দিনের মধ্যে ডেলিভারির কথা ছিল। তা না হলে মোটরসাইকেলের মূল্য বাবদ দুই লাখ ৫০ হাজার টাকা দেওয়ার কথা ছিল।
আসামিরা নির্ধারিত সময় অতিবাহিত হওয়ার পরও মোটরসাইকেলটি ডেলিভারি করতে না পারায় ইভ্যালি ডটকমের সিটি ব্যাংকের একটি অ্যাকান্টের একটি চেক দেওয়া হয়। চেকে সিনিয়র ম্যানেজার ফাইন্যান্স ও ম্যানেজার ফাইন্যান্স স্বাক্ষর করে তোফাজ্জল হোসেন বরাবর ইস্যু করেন। ব্যাংকে টাকা উত্তোলন করতে গেলে চেকটি ডিজঅনার হয়। পরে তোফাজ্জল প্রথমে লিগ্যাল নোটিশ দিয়ে জবাব না পেয়ে হস্তান্তরযোগ্য দলিল আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।
উল্লেখ্য, গত বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর মোহাম্মদপুরে ইভ্যালির এমডি রাসেলের বাসায় অভিযান চালায় র্যাব। অভিযান শেষে এ দম্পতিকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর তাদের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগে একাধিক মামলা করেন ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহকরা।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক