রংপুরের পীরগাছায় স্ত্রীকে আনতে না পেরে ফেসবুক লাইভে এসে বিষপানে আত্মহত্যা করেছেন ইমরোজ হোসেন রনি (৩০) নামে এক যুবক। লাইভে তিনি স্ত্রী, শ্বশুর, চাচা শ্বশুর ও ভায়রা এমদাদুল হককে দায়ী করেন। গতকাল শনিবার সকালে রনি বিষপান করে আজ রবিবার দুপুরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তিনি উপজেলার ছাওলা ইউনিয়নের নিজ তাজ গ্রামের মৃত তৈয়ব মিয়ার একমাত্র সন্তান।
জানা গেছে, ইমরোজ হোসেন রনি (৩০) ৪ বছর আগে ভালোবেসে বিয়ে করেন পার্শ্ববর্তী পশ্চিম হাগুরিয়া হাসিম গ্রামের দিনমজুর বাদল মিয়ার মেয়ে শামীমা ইয়াসমিন সাথীকে। তাদের আবু শাকিব রিশাদ নামে দুই বছরের এক সন্তান রয়েছে। সম্প্রতি কিছু দিন থেকে রনির নিকট দেনমোহরের ৫ লাখ টাকা ও শ্বশুর-শাশুড়ির ভরণ-পোষণ দাবি করে আসছিল তার স্ত্রী। এ নিয়ে কাউকে কিছু না বলে গত বুধবার পার্শ্ববর্তী রতনপুর গ্রামের চাচা মুকুল মিয়ার বাড়িতে চলে যান স্ত্রী সাথী।
শনিবার সকালে তাকে আনতে গিয়ে ব্যর্থ হয়ে ফেসবুক লাইভে আসেন ইমরোজ হোসেন রনি। লাইভে তিনি বলেন, আমার স্ত্রী আমাকে না বলে তিন দিন আগে তার চাচা মুকুল মিয়ার বাড়িতে চলে যায়। আমি আনতে গেলে তারা আমার নিকট দেনমোহরের ৫ লাখ টাকা দাবি করে। আমি এখন ফেসবুক লাইভে এসে বিষপানে আত্মহত্যা করবো। আমার মৃত্যুর জন্য আমার স্ত্রী, শ্বশুর, চাচা শ্বশুর ও ভায়রা এমদাদুল হক দায়ী। এ বলে একটি সাদা বোতলের মুখ খুলে বিষপান করেন রনি। এসময় তার সাথে এক কিশোরকে দেখা যায়। কিন্তু তার পরিচয় পাওয়া যায়নি।
পীরগাছা থানার ওসি সরেস চন্দ্র বলেন, ওই যুবক রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা গেছেন। লাশ ময়নাতদন্ত করে পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। তবে ফেসবুক লাইভে এসে আত্মহত্যার কথা জানি না। বিষয়টি খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর