নেশা করতে বাধা দেওয়ায় সাভারে এক মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে বাড়িতে আটকিয়ে রেখে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে এক দম্পতির বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় পুলিশ অভিযুক্ত ওই দম্পতিকে আটক করেছে।
রবিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতে পৌর এলাকার নামা গেন্ডা মহল্লায় এ ঘটনা ঘটে। আটক ওই দম্পতি এলাকায় নানা অপরাধে জড়িত বলেও জানান এলাকাবাসী। আহত ওই শিক্ষার্থী ধামরাই ফুটনগর এলাকার ইমরান ফকিরের ছেলে। আজ সোমবার দুপুরে ওই দম্পতিকে আদালতে প্রেরণ করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এলাকাবাসী জানায়, নামা গেন্ডা মহল্লার বাসিন্দা সারোয়ার হোসেন দীর্ঘদিন ধরে প্রকাশ্যে নেশা করে আসছিলেন। পরে ওই ব্যক্তির বাড়ির প্রতিবেশী জামিয়া ইআসিনিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসার হিফজু বিভাগের শিক্ষার্থী ওমর ফারুক (১৩) নেশা করতে তাকে বাধা দিলে রাতে মাদ্রাসার পাশ থেকে ওমর ফারুককে কৌশলে বাড়িতে ডেকে নিয়ে অভিযুক্ত সারোয়ার হোসেন ও তার স্ত্রী লাবনী তাকে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন করে। এসময় ওই শিক্ষার্থীকে কেঁচি দিয়ে পা কেটে দেন তারা। পরে ওই শিক্ষার্থীর চিৎকারে আশেপাশের লোকজন ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য সাভারের নিউজ দীপ ক্লিনিকে ভর্তি করে। এ ঘটনায় আহত ওই শিক্ষার্থীর বাবা ইমরান ফকির সাভার মডেল থানায় অভিযুক্ত ওই দম্পতিকে আসামি করে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ওই দম্পতিকে আটক করে।
এ বিষয়ে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা খালেদা আক্তার জানান, ঘটনাটি পৈশাচিক। শিক্ষাথী ওপর এ বর্বরতা আমরা কিছুতেই মেনে নিতে পারছিনা। যোগাযোগ করা হলে সাভার মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ কাজি মাইনুল ইসলাম জানান, বিষয়টি স্পর্শকাতর। মামলার পর জড়িতদের আটক করা হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ