সারাদিনের পরিশ্রম শেষে এখন থেকে নিজের জমিতে নিজের ঘরে ফিরতে পারবেন ভূমিহীন গৃহহীন মানুষগুলো। ইটের দেয়াল, কংক্রিটের মেঝে আর রঙিন টিনের ছাউনিতে সারি সারি ঘর দেখে স্বপ্ন বুনছে খুলনার নয়টি উপজেলার হতদরিদ্র ৯০৬টি পরিবার। মুজিববর্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে তাদেরকে সরকারি ব্যবস্থাপনায় দুই শতাংশ খাসজমির বন্দোবস্তসহ দুই কক্ষের সেমিপাকা ঘর তৈরি করে দেওয়া হচ্ছে। এসব ঘরের সাথে প্রতিটিতে একটি রান্না ঘর, টয়লেট ও সামনে খোলা বারান্দা থাকবে। এরই মধ্যে প্রস্তুত হওয়া ২৩৬টি পরিবারের হাতে জমির দলিল ও ঘরের চাবি তুলে দেওয়া হবে মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল)। ওই দিন একই সাথে প্রধানমন্ত্রী সারাদেশে ৩২ হাজার ৯০৪টি ভূমিহীন গৃহহীন পরিবারকে ঘর প্রদান অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করবেন।
সোমবার (২৫ এপ্রিল) খুলনা জেলা প্রশাসক মো. মনিরুজ্জামান তালুকদার এসব কথা জানান। তিনি বলেন, ১ম পর্যায়ে খুলনায় ৯২২টি, ২য় পর্যায়ে ১৩৫১টি পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়েছে। ৩য় পর্যায়ে আরও ৯০৬টি ঘরের বরাদ্দ পাওয়া গেছে। ৫টি ধাপে ভূমিহীন গৃহহীন পরিবারের মাঝে এসব ঘর প্রদান করা হবে।
জানা যায়, খুলনা জেলা থেকে ‘ক’ ক্যাটাগরির অন্তর্ভূক্ত ভূমিহীন গৃহহীন ৪ হাজার ৯৪টি পরিবারের তালিকা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছিল। ৩য় পর্যায়ে ১ম ধাপে রূপসা উপজেলায় ১৪টি, তেরখাদায় ৬২টি, দিঘলিয়ায় ৩৫টি, ফুলতলায় ৪টি, ডুমুরিয়ায় ৬৫টি, পাইকগাছায় ৩৬টি ও দাকোপে ২০টি ঘর প্রদান করা হচ্ছে। এসব ঘরের বারান্দায় আরসিসি পিলার, ঘরের বেজমেন্টে আরসিসি ঢালাই, গ্রেডবীম, টানা লিন্টেল সংযুক্ত করা হয়েছে। প্রতিটি ঘর নির্মাণে ব্যয় হয়েছে দুই লাখ ৫৯ হাজার টাকা।
জেলা প্রশাসক মো. মনিরুজ্জামান তালুকদার বলেন, উপযুক্ত খাস জমি না থাকায় পাইকগাছায় ৪৭টি ঘরের জন্য ১.০৩ একর, দিঘলিয়ায় ৬৫টি ঘরের জন্য ১.৬৮৭১ একর, ফুলতলায় ৭৭টি ঘরের জন্য ১.৬০ একরও রূপসায় ১২টি ঘরের জন্য ০.২৪ একর জমি ক্রয় করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর উপহার জমি ও ঘর পেয়ে জীবনযাত্রা বদলে যাবে উপকারভোগীদের।
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ