কোনো ঘোষণা ছাড়াই ভাড়া বাড়ানোর দাবিতে হঠাৎ করেই অটোরিকশা চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে চালক-মালিকদের একটি পক্ষ। এতে করে চরম অসুবিধায় পড়েছে যাতায়াতকারী ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।
আজ রবিবার ভোর থেকেই অটোচলাচল বন্ধ হলে এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে গুটি কয়েক অটোচালক যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করার অভিযোগ উঠেছে।
অপরদিকে অটোরিকশা চলাচল না করায় সময় মত পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ না করতে পেরে রাজশাহী পলিটেকনিকের শিক্ষার্থীরা মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে। এতে করে মহাসড়কে যানজট সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে।
রাস্তায় চলাচলরত অটোচালকরা বলেন, ‘আমরা সকালে গ্যারেজ থেকে গাড়ি বের করার পর রাস্তায় চাকার হাওয়া ছেড়ে দিয়েছে। এতে করে যাত্রী নিয়ে বিপদে পড়েছি। আগে থেকেই আমাদের ভাড়া বাড়ানো বা অটো চলাচল বন্ধ বিষয়ে জানানো হয়নি। অটোচালকদের একটি পক্ষই রাস্তায় বিভিন্ন মোড়ে অবস্থান নিয়ে এমন কাজটি করছেন।’
কাটাখালি এলাকার বাসিন্দা রাশেদ। সাহেববাজারে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আছে। সকালের দুর্ভোগের পর রাশেদের সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, ব্যাটারি চালিত অটো এবং রিকশাগুলো রাজশাহী নগরীতে একদিকে যেমন যানজট সৃষ্টি করছে, অন্যদিকে যখন তখন তাদের এরকম ভাড়া বৃদ্ধির অযৌক্তিক দাবিতে বিপাকে পড়ছেন নগরবাসী।
হঠাৎ অটো চলাচল বন্ধ হওয়ায় বিকল্প যান হিসেবে নগরীতে ভ্যানে করে অধিকাংশ যাত্রীদের গন্তব্যের উদ্দেশ্যে যাত্রা করতে দেখা গেছে। দুপুর ১২টার দিকে রাজশাহী নগর ভবনের সামনে দ্রব্যমূল্য ও অটোপার্টস’র দাম বৃদ্ধির কারণে অটোর ভাড়া বৃদ্ধির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে একটি পক্ষ।
ব্যাটারি চালিত অটো মালিক সমিতির সভাপতি সাগর দাবি করেন, ‘তাদের না জানিয়েই একটি পক্ষ ভাড়া বৃদ্ধির দাবিতে হঠাৎ অটো চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে। আমরা এই বিষয়ে জানি না বা জড়িত না। নওদাপাড়া ও তেরখাদিয়া ডাবতলা মোড়ে একটি সংগঠন আমার কাছে এসেছিল। আমি তাদের কথায় পাত্তা দেয়নি।’ তাদের নাম ও সংগঠনের নাম জানতে চাইলে সাগর বলেন, ‘এসবের পেছনে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের কয়েকজন কাউন্সিলর ইন্ধন দিচ্ছেন। আমি রাসিক মেয়রের সাথে আলোচনা করে কারা জড়িত তাদের নাম বলতে চাই। তারপর সাংবাদিকদের জানাবো বলে জানান।’
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর