অধ্যক্ষের অপসারণ দাবিতে বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কের বাবুগঞ্জের রহমতপুর এলাকা অবরোধ করেছিল কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের (এটিআই) শিক্ষার্থীরা। এর আগে তারা মধ্য সাময়িক পরীক্ষা বর্জন করে অধ্যক্ষকে তার কার্যালয়ে অবরুদ্ধ করে রাখে। মহাসড়ক অবরোধ করায় ওই পয়েন্ট দিয়ে যান চলাচল সাময়িক বন্ধ ছিল।
শিক্ষার্থীরা জানান, এটিআই অধ্যক্ষ মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ ক্লাসে শিক্ষার্থীদের হয়রানি করেন। শিক্ষার্থীদের অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেন তিনি। এর প্রতিবাদ করলে ব্যবহারিক পরীক্ষায় ফেল করানোর হুমকি দেন। প্রতি সেমিস্টারে ছাত্র কল্যাণ তহবিলের নামে শিক্ষার্থীদের কাছ লাখ টাকা নেওয়া হয়। কোনো শিক্ষার্থীর অসুবিধার জন্য ছাত্র তহবিলের সাহায্য চাইলে তাদের অপমাণ করেন অধ্যক্ষ। ছাত্রদের জন্য কোনো চিকিৎসা সরঞ্জামও দেয়া হয় না।
এসব ঘটনার প্রতিবাদে মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে মধ্য সাময়িক পরীক্ষা বর্জন করে অধ্যক্ষ অপসারণসহ ৬ দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করে শিক্ষার্থীরা। একপর্যায়ে তারা অধ্যক্ষকে তার কার্যালয়ে প্রায় ২ ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখে।
দুপুর ১২টার দিকে শিক্ষার্থীরা বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কের বাবুগঞ্জ উপজেলার রহমতপুর এলাকা অবরোধ করেন। প্রায় আঘা ঘণ্টা অবরোধের সময় মহাসড়কের ওই এলাকায় সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। যানবাহনের দীর্ঘ লাইন পড়ে যায়। পরে উপজেলা ও পুলিশ প্রশাসন ঘটনাস্থলে গিয়ে শিক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করে অবরোধ প্রত্যাহার করালে মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
ঘটনাস্থল পরিদর্শনকারী নগরীর বিমান বন্দর থানার এসআই অলীপ কুমার সাহা জানান, দুপুর ১২টার দিকে শিক্ষার্থীরা কিছু সময়ের জন্য মহাসড়কের রহমতপুরে অবরোধ করে। পরে প্রশাসন ও ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা বিষয়টি আলোচনার মাধ্যমে সুরহার আশ্বাস দিলে তারা মহাসড়ক ছেড়ে দেয়। আপাতত তারা ইনস্টিটিউটের মধ্যে রয়েছে। পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ অস্বীকার করে কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের (এটিআই) অধ্যক্ষ মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ মুঠোফোনে জানান, সকাল ৯টার দিকে মিডটার্ম পরীক্ষা শুরু হয়। পরীক্ষা বর্জন করে হঠাৎ শিক্ষার্থীরা আন্দোলন শুরু করে। শিক্ষার্থীরা তার বিরুদ্ধে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ করছে। বিষয়টি তারা কোনো শিক্ষক বা স্বয়ং অধ্যক্ষের সাথেও আলাপ করতে পারতো। এর পেছনে অন্য কোনো কারণ থাকতে পারে বলে সন্দেহ অধ্যক্ষের।
বিডি প্রতিদিন/এমআই