'বিদেশ ফেরত নারী কর্মী: অভিবাসন সমস্যা ও উত্তরণে করণীয়' শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে নারীদের জন্য নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ অভিবাসন নিশ্চিত করার দাবি করেছেন বক্তারা।
বৃহস্পতিবার সকালে রাজশাহী নগরীর একটি হোটেলের সম্মেলন কক্ষে অ্যাসোসিয়েশন ফর কম্যুনিটি ডেভেলপমেন্ট-এসিডি 'বিদেশ ফেরত নারী কর্মী: অভিবাসন সমস্যা ও উত্তরণে করণীয়' নিয়ে এক গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে।
গ্লোবাল অ্যালায়েন্স অ্যাগেইনস্ট ট্রাফিক ইন উইমেন'র সহযোগিতায় ‘‘উইমেনস লেবার মাইগ্রেশন ইন দ্যা সাউথ এশিয়া-মিডল ইস্ট করিডোর’’ শীর্ষক কর্মসূচির আওতায় গোলটেবিল বৈঠকে সরকারি বিভিন্ন দফতরের কর্মকর্তা, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতিনিধি, নারী কর্মীদের নিয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করেন এমন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি, গণমাধ্যমকর্মীবৃন্দ গোলটেবিল বৈঠকে উপস্থিত নারী কর্মীর জন্য নিরাপদ অভিবাসন ও করণীয় নিয়ে হয়ে মতামত তুলে ধরেন।
এসিডি নির্বাহী পরিচালক সালীমা সারোয়ারের সভাপতিত্বে প্রকল্প সমন্বয়কারী সুব্রত কুমার পালের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের শুরুতে, এসিডি প্রোগ্রাম ডিরেক্টর শারমিন সুবরিনা বিদেশ ফেরত নারী কর্মীর অভিবাসন এবং সমস্যা, সম্ভবনা নিয়ে তথ্য উপস্থাপন করেন।
পরে মুক্ত আলোচনা পর্বে প্রতিবেদনের আলোকে বক্তব্য রাখেন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার তৌহিদুল আরিফ, জেলা প্রাণি সম্পদ দপ্তরের প্রশিক্ষণ সমন্বয়কারী ড. ইসমাইল হোসন, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক এটিএম গোলাম মাহবুব, সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক হাসিনা মমতাজ, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক শবনম শিরিন, জেলা কর্মস্থান ও জনশক্তি অফিসের সহকারি পরিচালক আব্দুল হান্নান, ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার অফিসার ইনচার্জ মোহতারেমা আশরাফী, সোনার দেশ সম্পাদক আকবারুল হাসান মিল্লাত, সুজনের রাজশাহী সভাপতি সফিউদ্দিন আহমেদ।
বক্তরা বলেন, পুরুষের পাশাপাশি বর্তমানে আমাদের নারীরাও বিদেশে গিয়ে চাকরি করছেন যা একটি সাহসী পদক্ষেপ। তাদের বিদেশে চাকরি খোঁজা দেশের অর্থনীতি ও বেকারত্ব দূরীকরণে একটি বড় সুযোগ তৈরি হয়েছে। তবে, বিদেশে তাদের কাজের এই সুযোগটিকে আমরা কতোটুকু ঝুঁকিমুক্ত, মর্যাদাপূর্ণ ও লাভজনক করতে পেরেছি সেটি ভেবে দেখার সময় এসেছে। বক্তারা মতামতে প্রেক্ষিতে বিভিন্ন সুপারিশ তুলে ধরেন। নারীদের জন্য বিশেষ সুরক্ষাসহ নারী-পুরুষ নির্বিশেষে নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ অভিবাসন নিশ্চিত করা; নিয়োগ প্রক্রিয়াকে স্বচ্ছ ও ন্যায়সংগত করা, বিদেশ ফেরত নারীর কর্মীদের জন্য সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচিতে অর্ন্তভুক্ত কররতে হবে।
একই সঙ্গে বিদেশে শ্রমিক উইংস বা শ্রম শাখাকে শক্তিশালী করা ও প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীন কল্যাণ বোর্ডের মাধ্যমে ফেরত আসা নির্যাতিতদের পুনর্বাসনের উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানান।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত