বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বলেছেন, ব্যাংক ব্যালেন্স বাড়ানো ছাত্রলীগের লক্ষ্য নয়। ছাত্রলীগ কর্মীরা আদর্শের বলিয়ান হবে, ভালো ছাত্র হবে। ছাত্রলীগ কর্মী হয়ে কোথায় টেন্ডার হচ্ছে খোঁজ নেওয়া, এটা ছাত্রলীগের কাজ নয়। নিজেদের ক্যারিয়ার গড়তে আমরা ছাত্রলীগ করি না। ছাত্র সমাজের জন্য ছাত্রলীগ করি। ব্যাংক ব্যালেন্স বাড়াতে আমরা ছাত্রলীগ করি না, আমাদের ছেলেমেয়েরা যেন সুন্দর শিক্ষার পরিবেশ পায় সে লক্ষ্যে আমরা ছাত্রলীগ করি। সাংগঠনিক শৃঙ্খলা বজায় রাখতে হবে। গণতান্ত্রিকভাবে চলতে হবে। ছাত্রলীগ প্রবলেম তৈরি করবে না, প্রবলেম সলভ করবে। এটাই ছাত্রলীগ কর্মীদের লক্ষ্য।
শনিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ শহরের ওসমানী স্টেডিয়াম মাঠে ছাত্রলীগের স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে বিশেষ কর্মীসভায় এসব কথা বলেন তিনি। এ সময় আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমানসহ দলের জেলা ও মহানগরের শীর্ষ নেতারা দর্শক সারিতে কর্মীদের সঙ্গে বসে ছাত্রলীগ নেতাদের বক্তব্য শোনেন।
সাদ্দাম হোসেন বলেন, আজকে আমাদের জন্য আনন্দের দিন। আজ আমাদের মাঝে এমন একজন উপস্থিত আছেন যিনি আমাদের সবসময় প্রেরণা এবং শিক্ষা দেয় কীভাবে দেশরত্ন শেখ হাসিনার কর্মী হতে হয়। আজ তিনি মঞ্চে স্থান না নিয়ে কর্মী হিসেবে আমাদের সামনে উপস্থিত রয়েছেন একেএম শামীম ওসমান এমপি সাহেব।
তিনি বলেন, আমাদের সভাপতি সাধারণ সম্পাদক পদ বড় নয়। আমাদের সবচেয়ে বড় পদ আমরা শেখ হাসিনার কর্মী। তৃণমূলের প্রতি আমাদের জবাবদিহিতা রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে আমরা ব্যবসা করতে পারবো। সে বাস্তবতা আজ তৈরি হয়েছে। সারা দেশে ১৩ হাজার ডিজিটাল ল্যাব তৈরি হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের সকল স্তরের মানুষের কথা ভাবেন। স্কুলে যে ছেলেটি লেখাপড়া করছে তার পাশাপাশি মাদ্রাসায়ও আজ ধর্মীয় শিক্ষার পাশাপাশি সে যেন দক্ষ হিসেবে গড়ে উঠতে পারে সে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। কয়েক বছরের মধ্যে আমরা সবচেয়ে বেশি আয় করবো আইসিটি খাত থেকে। সে লক্ষ্যে আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আমাদের সে লক্ষ্যে কাজ করতে হবে।
সাদ্দাম হোসেন বলেন, আমাদের অনেক লড়াই এখনও বাকি। আমাদের সেই লড়াই শেষ করতে হবে। অনেকেই গণতন্ত্রের বেশ ধরে এসেছি। খুনি দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের পুনর্বাসিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। তাদের বাংলাদেশের ছাত্র সমাজ কখনও ক্ষমা করবে না। তাদের সঙ্গে আপস কখনও ছাত্র সমাজ মেনে নেবে না।
ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালি আসিফ ইনান বলেন, ২০২৪ সালে নৌকাই হবে আমাদের স্মার্ট বাংলাদেশের প্রতীক। আজ তরুণ প্রজন্ম শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার জন্য ঐক্যবদ্ধ।
তিনি আরও বলেন, আমরা আশা করি নারায়ণগঞ্জের পাঁচটি আসনই আপনারা আগামী নির্বাচনে শেখ হাসিনাকে উপহার দেবেন এবং নারায়ণগঞ্জ যে আওয়ামী লীগের দুর্বার ঘাটি, সেটা আপনারা আবারও প্রমাণ করবেন।
বিডি প্রতিদিন/এমআই