রাজশাহীতে স্ত্রী হত্যা মামলায় সোহাগ হোসেন নামে এক যুবককে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। রায়ে এ মামলার অপর আসামি সোহাগের নানা ইয়াসিন, মামা ইমরান ও মা রূপালি বেগমকে খালাস দেওয়া হয়। বুধবার দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক মোহা. হাসানুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত সোহাগ হোসেন রাজশাহী জেলার বাগমারা উপজেলার চানপাড়া গ্রামের মৃত জয়নালের ছেলে। রায় ঘোষণাকালে আসামিরা আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণার পর দণ্ডিত আসামিকে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।
ট্রাইব্যুনালে থাকা রাষ্ট্রপক্ষের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট নাসরিন আখতার মিতা জানান, রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার হামিরকুৎসা ইউনিয়নের দক্ষিণ মাঝগ্রাম মোল্লাপাড়ার আবদুল হান্নানের মেয়ে সাবিনা খাতুনের আগের স্বামীর সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হওয়ার পর সোহাগের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সোহাগ ট্রলির হেলপারের কাজ করতেন।
২০২১ সালের শুরু দিকে পরিবারের অমতে সাবিনাকে বিয়ে করেন সোহাগ। কিন্তু সোহাগের তুলনায় সাবিনার বয়স বেশি এবং তালাকপ্রাপ্ত। এনিয়ে পারিবারিক কলহ শুরু হয়। সোহাগ দুই লাখ টাকা যৌতুক দাবি করলে ৬০ হাজার টাকা দেয় সাবিনার মা। টাকা নেওয়ার পর সাবিনাকে তালাক দিতে চাপ প্রয়োগ করতে থাকে তার মা রূপালি। এক পর্যায়ে বিয়ের দেড় মাসের মাথায় ৩০ এপ্রিল রাতে নিজ ঘরেই শ্বাসরোধে সাবিনাকে হত্যা করে সোহাগ। এ ঘটনায় সোহাগসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন নিহতের মা।
অ্যাডভোকেট নাসরিন আখতার মিতা জানান, হত্যাকাণ্ডের সময় সোহাগের বয়স ছিল ১৭ বছর। কিন্তু বর্তমানে তার বয়স ১৯ বছর পার হয়েছে। শিশু আইনে তার বিচার হলেও বয়স বিবেচনায় তাকে শিশু সংশোধনাগারে না পাঠিয়ে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আর অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় বাকি তিনজনকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই