বরিশাল সিটি করপোরেশনে (বিসিসি) বিএনপির মনোনয়নে নির্বাচিত সাবেক মেয়র প্রয়াত আহসান হাবীব কামালের স্ত্রী এবং তার দুই সন্তানকে তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আগামী ১২ এপ্রিল দুদক বরিশাল বিভাগীয় কার্যালয়ে উপস্থিত থাকতে তাদের নোটিশ দেয়া হয়েছে। ওই দিন তাদের সম্পদ বিবরণী যাচাই করবে দুদক।
গত ২ এপ্রিল দুদক বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আবদুল কাইয়ুম হাওলাদার সাক্ষরিত নোটিশপ্রাপ্তরা হলেন, প্রয়াত সাবেক মেয়র কামালের সহধর্মীনি হোসনে আরা বেগম, একমাত্র ছেলে কামরুল আহসান রূপন এবং একমাত্র মেয়ে মালিহা বেগম।
নোটিশে তাদের নামে থাকা রিভার আইল্যান্ড ইন্ট্রিগেশন লিমিটেডের আর্টিকেল অব মেমোরেনডাম, কোম্পানির মূলধনের উৎস্য সংক্রান্ত কাগজপত্র, কোম্পানির শেয়ার পরিবর্তন সংক্রান্ত কাগজপত্র, আয়কর নথির সত্যায়িত অনুলিপি, আয়কর নথিতে উল্লেখিত সকল স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের দলিলের সত্যায়িতি অনুলিপিসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ আগামী ১২ এপ্রিল সকাল ১১টায় দুদক বিভাগীয় কার্যালয়ে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে কামরুল আহসান রূপন বলেন, আয়কর নথির সত্যায়িত অনুলিপি বা কোন দলিলের সত্যায়িত কপি চাওয়া হয় তা তিনি কখনও শোনেননি। রাজনৈতিকভাবে হয়রানীর উদ্দেশ্যে তাদের এই নোটিশ দেয়া হয়েছে বলে দাবি করেন রূপন।
রূপনের দাবি তার বাবা আহসান হাবিব কামাল বিএনপির রাজনীতি করতেন। তিনি পৌর কমিশনার, চেয়ারম্যান এবং সিটি মেয়র ছিলেন। ২০১৪, ২০১৬ এবং ২০১৮ সালেও দুদক এই ধরনের চিঠি দিয়েছিলো তার বাবাকে। গত বছর ৩০ জুলাই তার বাবার মৃত্যুর আগে সব নোটিশের জবাব দুদককে দিয়েছেন বলে দাবি রূপনের।
দুদক বরিশাল বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক আব্দুল গাফফার বলেন, প্রয়াত আহসান হাবিব কামাল পরিবারের সম্পদের হিসাব চেয়ে অনেক আগেই নোটিশ দেয়া হয়েছিলো। এর মধ্যে তারা সম্পদের বিবরণী জমা দিয়েছেন। ১২ এপ্রিল তাদের উপস্থিতিতে সম্পদ বিবরণী যাচাই করা হবে।
বিডি প্রতিদিন/এএ