প্রিয়জনের সাথে ঈদ করতে নাড়ির টানে বাড়ি ফিরছেন মানুষ। ঈদের ছুটি শুরু হওয়ায় আজ মঙ্গলবার সকাল থেকেই রাজধানীর বাসস্ট্যান্ডগুলোতে বাড়িফেরা মানুষের চাপ বেড়েছে। গাবতলী বাসস্ট্যান্ডে পরিবার-পরিজন নিয়ে মানুষজন নির্দিষ্ট গন্তব্যে যাওয়ার জন্য সকাল থেকেই ভিড় জমাচ্ছেন।
ঢাকা ও সাভারের বিভিন্ন পয়েন্টে সরেজমিনে দেখা যায়, বৃষ্টি মাথায় নিয়েই ঈদ করতে মানুষজন তাদের গ্রামের বাড়ি ফিরছেন। তবে বৃষ্টিতে কিছুটা দুর্ভোগ পোহাতে হলেও যাত্রীদের মধ্যে কোনো বিরক্তি দেখা যায়নি। বরং আবহাওয়া কিছুটা ঠান্ডা থাকায় অনেকেই স্বস্তি প্রকাশ করেছেন।
গাবতলীর বাস কাউন্টারগুলোতে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মঙ্গলবার দুপুর ১টা পর্যন্ত বেশিরভাগ বাসই সময় মেনে গন্তব্যের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাচ্ছে। পথে ঢাকা টাঙ্গাইল মহাসড়কে কিছুটা যানজট থাকায় কিছু বাস আধা ঘণ্টা থেকে সর্বোচ্চ একঘণ্টা দেরিতে ছাড়ছে। এ নিয়ে অবশ্য যাত্রীদের তেমন ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা যায়নি।
এরই মধ্যে পোশাক কারখানায় ছুটি শুরু হওয়ায় পোশাক শ্রমিকরা বাড়ি যেতে শুরু করেছেন। সাভার ও আশুলিয়ার বিভিন্ন পয়েন্টে হাজার হাজার পোশাক শ্রমিককে যানবাহনের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। বৃষ্টি উপেক্ষা করে তারা দীর্ঘক্ষণ বাসের জন্য দাঁড়িয়ে থাকেন। বাস না পেয়ে অনেকেই ঝুঁকি নিয়ে ট্রাক ও পিকআপে করে গন্তব্যে রওয়ানা দেন।
সাভারের নবীনগর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় কথা হলে পোশাক শ্রমিক আব্দুল্লাহ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘ঈদের ছুটি ছাড়া বাড়িতে আর যাওয়া হয় না। এজন্য সামান্য কষ্ট হলেও তা মেনে নিচ্ছি।’
তিনি বলেন, ‘বাসের জন্য অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে ছিলাম। সাথে ছোট বাচ্চা আছে। বৃষ্টিতে ভিজে যাবে তাই ট্রাকে করে দাঁড়িয়ে বাড়িতে যাচ্ছি।’
এ ছাড়া দেখা গেছে, ঈদ করতে অন্যবারের মতো এবারও অনেকে বাহন হিসেবে মোটরসাইকেল ব্যবহার করছেন। বৃষ্টির জন্য বাড়তি সতর্কতা হিসেবে এই মোটরসাইকেল আরোহীরা রেইনকোট ব্যবহার করছেন।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ