ঈদুল ফিতরে দেশের উত্তরাঞ্চলের দিকে বাড়িতে যাওয়া যাত্রীরা কিছুটা স্বস্তি পেলেও ঈদুল আজহায় আবারও ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। ঢাকা-টাঙ্গাগাইল মহাসড়কে তীব্র যানজটে পড়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা যাত্রীদের গাড়িতে বসে থাকতে হচ্ছে। বৃষ্টির কারণে যান চলাচলে ধীরগতির জন্য বাস-ট্রাক, পিকআপ ও প্রাইভেটকারগুলো দীর্ঘ সময় ধরে ধীরগতিতে চলছে।
গাজীপুরের কালিয়াকৈর চন্দ্রায় গাইবান্ধাগামী আলহামরা বাসের এক যাত্রী সজীব আহমেদ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘দুপুর ১টায় ঢাকার গাবতলী থেকে রওয়ানা দিয়ে সন্ধ্যা ৬টার দিকেও চন্দ্রা পার হতে পারিনি। অথচ সাধারণ সময়ে এই দূরত্ব এক ঘণ্টায় পার হওয়া যায়। স্ত্রী ও সন্তানের ক্ষুধা লেগেছে, বাচ্চা অনবরত কাঁদছে। কিন্তু বৃষ্টির কারণে বাস থেকে নামতেও পারছি না।’
সরেজমিন দেখা গেছে, ঈদে বাড়ি ফেরত পোশাক শ্রমিকদের বড় একটি অংশ ট্রাক ও পিকআপে করে বৃষ্টিতে ভিজে ভিজে গন্তব্যে উদ্দেশে রওয়ানা হয়েছেন। বৃষ্টি থেকে বাঁচতে অনেক ট্রাকের ওপর প্লাস্টিক লাগিয়ে রাখা হয়েছে। আবার যারা ট্রাকেও উঠতে পারেননি তাদের অনেকে সাভার থেকে মাইলের পর মেইল হেঁটে যানবাহনের খোঁজ করছেন।
গেল কয়েকবার ঈদে বাড়িফেরত যাত্রীদের ঈদযাত্রা নিবিঘ্ন করতে মহাসড়কে হাইওয়ে পুলিশের সদস্যদের সক্রিয় থাকতে দেখা গেলেও এবার তেমন দেখা যাচ্ছে না। চন্দ্রা মোড়ে হাইওয়ে পুলিশের একটি সাব কন্ট্রোল রুম থাকলেও তাদের তেমন কর্মকাণ্ড চোখে পড়েনি। কন্ট্রোল রুমের সামনেই যত্রতত্র মিনি বাসগুলো নিয়ম ভেঙে যাত্রী তুললেও হাইওয়ে পুলিশ সদস্যদের এ নিয়ে কোনো ভ্রুক্ষেপ ছিল না।
এর ফলে জেলাভিত্তিক মিনিবাসগুলোর চালকরা যাত্রী তুলতে মহাসড়কে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছে। গাজীপুরের চন্দ্রায় এ কারণে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়ছেন যাত্রীরা।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ