আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের শরিক দল-গণতন্ত্রী পার্টিতে অস্থিরতা চলছে। ঢাকা-১৭ আসনে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া নিয়ে এই অস্থিরতায় গত মঙ্গলবার সংগঠনের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ব্যারিস্টার মোহাম্মদ আরশ আলী ও দুই প্রেসিডিয়াম সদস্যকে বহিষ্কার করা হয়।
আজ শনিবার সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহাদাৎ হোসেন ও ভারপ্রাপ্ত সভাপতি প্রকৌশলী কামরুল আহসান খান পারভেজকে পাল্টা বহিষ্কার করা হয়েছে।
সন্ধ্যায় কাকরাইলে সংগঠনের কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় সাধারণ সম্পাদক ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদককে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি ব্যারিস্টার মোহাম্মদ আরশ আলী। সভায় সংগঠনের অধিকাংশ প্রেসিডিয়াম সদস্য, সম্পাদকমন্ডলীর সদস্যসহ সাধারণ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সংগঠনের সভাপতি ব্যারিস্টার আরশ আলী জানান, সংগঠনের কারো সঙ্গে কোনো আলোচনা না করে ঢাকা-১৭ জাতীয় সংসদের শূন্য আসনে বাবু অশোক ধরকে প্রার্থী করে। অন্যদিকে আমি সংগঠনের সকলের সাথে আলোচনা করে মোহাম্মদ কামরুল ইসলামকে প্রার্থী হিসেবে ওই আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য মনোনয়ন প্রদান করি। উভয় মনোনয়ন ত্র বৈধ হওয়ায় একই প্রতীকে দুইজন প্রার্থী থাকায় উভয় মনোনয়নপত্র বাতিল হয়। গঠনতন্ত্র ও সাংবিধানিকভাবে আমিই প্রার্থী মনোনীত করতে পারি। সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত প্রার্থী করার কোনো এখতিয়ার নেই। এ জন্য গত ২৭ জুন সম্পূর্ণ অনৈতিক, অগণতান্ত্রিক ও অগঠনতান্ত্রিকভাবে তথাকথিত একটি মিটিং ডেকে সভাপতি, দুইজন সিনিয়র প্রেসিডিয়াম সদস্যকে বহিষ্কার করে যা একটি গণমাধ্যমে খবর বেরিয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে আজ বিকালে গণতন্ত্রী পার্টির বৈঠকে সর্বস্মতিক্রমে পার্টির সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহাদাৎ হোসেন এবং কথিত ভারপ্রাপ্ত সভাপতি প্রকৌশলী কামরুল আহসান খান পারভেজকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। একই সঙ্গে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে অ্যাডভোকেট ভুপেন্দ্র ভৌমিক দোলন-কে।
বৈঠকে অংশ নেন প্রেসিডিয়াম সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ডা. শহিদুল্লাহ সিকদার, বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুর রহমান সেলিম, আসারণ, অনলাইনে যুক্ত হন বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট জহুরুল ইসলাম, বাবুল দে, সম্পাদকমণ্ডলী এবং সদস্যদের মধ্যে বৈঠকে অংশ নেন আরিফ মিয়া, শহীদুল ইসলাম, গিয়াসউদ্দিন, কাসেম, ফরিদ হোসেন, খায়রুল ইসলাম, মিরাজ জামান, হালিম, কোমল প্রমুখ।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল