দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ শেষ হলো বিকাল ৪টায়। নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসনে সাড়া পড়েনি ভোটারের। তবে কাগজে কলমে বেড়েছে ভোট।
রবিবার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত অধিকাংশ কেন্দ্রে দেখা যায়নি ভোটারের দীর্ঘ লাইন। বিশেষ করে কিছু কেন্দ্রে পুরুষ ভোটার ছিল না বললেই চলে। তবুও হিসাবের খাতায় হু হু করে বেড়েছে ভোট। এরমধ্য কিছু ভোটার কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে না পেরে ফিরে আসেন।
বড়ালু পাড়াগাঁও বাতেনিয়া দাখিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে দুপুর ১টা থেকে ২টা পর্যন্ত অবস্থান করে মাত্র ছয় জন পুরুষ ভোটারকে বুথে প্রবেশ করতে দেখা যায়। এই এক ঘণ্টায় বেশ কিছু নারী ভোটার ভোট দিতে আসলেও লাইনে কখনোই চারজনের বেশি ছিল না। অথচ এই এক ঘণ্টায় কেন্দ্রটিতে ভোট বেড়েছে দাঁড়িয়েছে মোট ৯১টি। এর মধ্যে পুরুষ ভোট ৪০টি, নারী ভোট ৫১টি। দুপুর ২টা পর্যন্ত কেন্দ্রটিতে ভোট পড়েছে ১ হাজার ২১টি, যা মোট ভোটের ৫৩.৬২ ভাগ।
কেন্দ্রে ভোটার না ঢুকলেও ভোট বাড়ার কারণ জানতে চাইলে প্রিজাইডিং অফিসার আবুল বাশার মোহাম্মদ নজিবুল্লাহ বলেন, এখানে জাল ভোটের সুযোগ নেই। নিশ্চয়ই ভোটাররা এসে ভোট দিয়ে গেছেন।
ভোটারের একই চিত্র দেখা যায় চনপাড়া আল আমিন মডেল একাডেমি কেন্দ্রে। সকাল সাড়ে ১০টায় কেন্দ্রটির একটি নারী বুথের সামনে প্রায় ৩০ জনের লাইন দেখা যায়। দুইটি পুরুষ বুথের সামনে ছিল ৪ জন ভোটার। বেলা ১২টায় নারী বুথের সামনে ভোটার কমে দাঁড়ায় সাত জনে। তখন কেন্দ্রে একজনও পুরুষ ভোটার ছিল না। তবে দুপুর ১২টায় প্রিজাইটিং অফিসার মাসুদ রানা জানান, পুরুষ ভোট পড়েছে ৬১৫টি, নারী ভোট পড়েছে ৭০১টি।
রূপগঞ্জ ৪৭ নং কেন্দুয়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে বেলা ১২টায় গিয়ে ভোটারের ভীড় দেখা না গেলেও প্রথম চার ঘণ্টাতেই ভোট পড়ে প্রায় ৫০ শতাংশ। এই কেন্দ্রে মোট ভোটার সংখ্যা ৩ হাজার ৮০১ জন। দুপুর ১২টার মধ্যে ভোট পড়ে ১ হাজার ৩৯৪টি। তবে দুপুর ১টায় মামুন নামের একজন ভোটার ভোট দিতে এসে জানতে পারেন তার ভোট দেওয়া হয়ে গেছে।
তিনি বলেন, কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে গেলে পোলিং অফিসাররা জানান ১০ মিনিট আগেই আমার ভোট দেওয়া হয়ে গেছে। আমি ভোট দেইনি এই প্রমাণ উপস্থাপন করার পর তারা আমাকে ভিন্ন নম্বর দিয়ে ভোট দিতে বলেন। প্রিজাইডিং অফিসার শাহ সাইফুল আলমের কাছে মৌখিক অভিযোগ করে ভয়ে দ্রুত কেন্দ্র ছাড়েন তিনি।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত