বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেছেন, বর্তমান যুবলীগের অন্যতম লক্ষ্য এই মানবিক ধারাকে গতিশীল করতে নেতৃত্ব দেওয়া এবং প্রতিবিপ্লবীদের প্রতিহত করে মানুষের সুখে-দুঃখে সাথি হওয়া। এ লক্ষ্যে যুবলীগ ইতোমধ্যে অনেক মানবিক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে আপনাদের সচেষ্টা ও কৃতিত্বে “মানবিক যুবলীগ”-এ পরিণত হয়েছে। এই ধারা অব্যাহত থাকবে। তাই আমরা দায়বদ্ধ জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে। সর্বোপরি আমরা দায়বদ্ধ এদেশের মানুষের কাছে।
তিনি বলেন, যুবলীগের সকল নেতা-কর্মীরা মানুষের পাশে থাকবে, এটাই আমাদের প্রত্যয়। প্রতিটি মানুষের যেন জীবনের উন্নতি হয়, প্রতিটি ছেলে-মেয়ে লেখা-পড়া শিখে মানুষ হয়, ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যেন সুন্দরভাবে বাঁচতে পারে, উন্নত জীবন পায় সেটা আমাদেরকেই নিশ্চিত করতে হবে। একটা ন্যায় পরায়ণ সমাজ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে, স্বাধীনতাবিরোধী শক্তিকে প্রতিহত করার মাধ্যমে আমাদেন নতুন প্রজন্ম গণমানুষের ন্যায্য অধিকার সংরক্ষণে বিপ্লবী ভূমিকা রাখবে এটাই আমাদের অঙ্গীকার। এভাবেই বাংলার আপামর জনগণকে সঙ্গে নিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সমৃদ্ধ একটা নববিপ্লবের সূচনা করবে আমাদের প্রগতিশীল যুবসমাজ।
আজ বিকাল ৩টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম হলে যুবলীগের উদ্যোগে রংপুর বিভাগের শীতার্ত মানুষের জন্য রংপুর মহানগর, রংপুর, দিনাজপুর, পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম, নীলফামারী ও লালমনিরহাট জেলা যুবলীগের প্রতিনিধিদের কাছে শীতবস্ত্র হস্তান্তর অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
শীতবস্ত্র হস্তান্তর অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মাইনুল হোসেন খান নিখিল এমপি।
সভাপতির বক্তব্যে যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেন, তবে এই পথে প্রধান বাধা ঐ মনুষ্যত্ব বিবর্জিত স্বাধীনতাবিরোধী চক্র। ফলে আমাদের সংগ্রাম স্বাধীনতাবিরোধী, রাজাকার, আল-বদর, আল সামসদের বিরুদ্ধে, বিএনপি-জামাতের বিরুদ্ধে। আমাদের প্রতিরোধ পশুতুল্য যুদ্ধাপরাধীদের দোসরদের বিরুদ্ধে। আমাদের জাগ্রত হতে হবে তাদের বিরুদ্ধে, যারা ভয়াবহ সেই আগস্টের রাতের অন্ধকারে জাতির পিতাকে অমানবিক ও নৃশংসভাবে সপরিবারে হত্যা করে; শুধু তাই নয়, ওরা সম্পূর্ণরূপে মনুষ্যত্ব বিবর্জিত হয়ে বিনা বিচারে নারী-শিশু হত্যা করে। এমনকি ক্ষমতা লুণ্ঠন করেও প্রবল প্রতাপের সাথে মার্শাল-ল’- এমারজেন্সি জারি করে বিএনপি নামের তথাকথিত রাজনৈতিক দল গঠন করে। যারা রেফারেন্দামের মাধ্যমে হ্যাঁ-না ভোটের মাধ্যমে অবৈধ ক্ষমতা বৈধতা দেবার ন্যাক্কারজনক চেষ্টা চালায়, যারা অমানুষের মত গণহত্যা চালিয়ে শত শত মুক্তিযোদ্ধা সামরিক অফিসারদের হত্যা করে।
সঞ্চালকের বক্তব্যে যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মাইনুল হোসেন খান নিখিল এমপি বলেন, যুবলীগের নেতা-কর্মীদের প্রতি ধন্যবাদ জানাচ্ছি, কৃতজ্ঞতা জানাই আপনারা বিএনপি-জামায়াতের একটা কঠিন ষড়যন্ত্রকে সাহসিকতার সঙ্গে মোকাবিলা করে ৭ জানুয়ারি প্রমাণ করেছেন বঙ্গবন্ধুকন্যার বিরুদ্ধে কোন ষড়ন্ত্রই বাংলার মাটিতে সফল হবে না।
তিনি আরও বলেন, যুবলীগ বঙ্গবন্ধুকন্যার বিশ্বস্ত ভ্যানগার্ড। ইতিহাস সে কথায় বলে। যুবলীগের জন্মলগ্ন থেকেই এদেশের জন্য, জাতির জন্য যে আত্মহহুতি দিয়েছে তার অসংখ্য প্রমাণ রয়েছে। বিশেষ করে নূর হোসেন, বাবুল ফাত্তাহ, সৈয়দ মৌলভী খসরু, তার উদাহরণ। বাংলাদেশের গণতন্ত্র বাংলাদেশের মানবাধিকার বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার হাতেই নিরাপদ।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আবুল কালাম মো. আহসানুল হক ডিউক এমপি, তাজউদ্দিন আহমেদ, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বিশ্বাস মুতিউর রহমান বাদশা, সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুর রহমান সোহাগ, সোহেল পারভেজ, মশিউর রহমান চপল, ঢাকা মহানগর যুবলীগ উত্তরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাকির হোসেন বাবুল, দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাইন উদ্দিন রানা, উত্তরের সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন, কেন্দ্রীয় যুবলীগের প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন পাভেল এমপি, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সম্পাদক শামছুল আলম অনিক, উপ-দপ্তর সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন শাহজাদা, উপ-ক্রীড়া সম্পাদক আবদুর রহমান, উপ-বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক রাশেদুল হাসান সুপ্ত, উপ-কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক মোল্লা রওশন জামির রানাসহ কেন্দীয় মহানগর ও রংপুর বিভাগের সকল জেলা ও মহানগরের প্রতিনিধিবৃন্দ।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত