২১ এপ্রিল, ২০২৪ ১৮:৪৬

তাপদাহে রংপুর চিড়িয়াখানায় প্রাণিদের হাঁসফাঁস

নজরুল মৃধা, রংপুর

তাপদাহে রংপুর চিড়িয়াখানায় প্রাণিদের হাঁসফাঁস

প্রচন্ড তাপদাহে মানুষের পাশাপাশি রংপুরের চিড়িয়াখানার প্রাণিগুলোর মধ্যে হাঁসফাঁস উঠেছে। রংপুর বিনোদন উদ্যান চিড়িয়াখানার প্রাণিগুলোও একটু শীতল পরশের জন্য ছটফট করছে। চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ প্রাণিগুলোর শরীর ঠিক রাখতে ভিটামিন সি ও স্যালাইন খাওয়াচ্ছে। রবিবার দুপুরে চিড়িয়াখানায় গিয়ে এই দৃশ্য দেখা গেছে।  সারাদেশে ওপর দিয়ে তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এর ফলে মানুষের পাশাপাশি জীবজগতেও নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। 

এদিকে চিড়িয়াখানা সূত্রে জানা গেছে, রংপুর চিড়িয়াখানায় ৩১ প্রজাতির প্রায় ২৫৪ প্রাণী রয়েছে।  চিড়িয়াখানায় যে সব প্রাণি রয়েছে সেগুলো হল সিংহ ২টি, জলহস্তি ৩ টি, ময়ুর ৮টি, হরিণ ৫৯ টি, অজগর সাপ দুটি, ইমু পাখি ৩টি, বানর ৯টি, কেশওয়ারি ১টি, গাধা ৩টি, ঘোড়া ২টি, ভাল্লুক ১টি। দেশে দুটি সরকারি চিড়িয়াখানের মধ্যে রংপুরে একটি। এসব প্রাণিগুলোর মধ্যে নিঃসঙ্গ অবস্থায় রয়েছে ভাল্লুক, হনুমান, কেশওয়ারি। কিছুদিন আগে নিঃসঙ্গ অবস্থায় থাকা উটপাখিটি মারা গেছে।  

দীর্ঘদিন থেকে কর্তৃপক্ষ সঙ্গীহীন প্রাণিগুলোর সঙ্গী আনার জন্য ঢাকায় আবেদন করলেও তা গ্রাহ্য হয়নি। এছাড়া চিড়িয়াখানার একমাত্র বাঘিনী শাওন বার্ধক্যজনিত কারণে মারা গেছে। বাঘিনীটিও দীর্ঘদিন সঙ্গিহীন অবস্থায় ছিল। 

প্রয়াত জাপা চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ রংপুর নগরীর হনুমানতলা এলাকার ৮৯ সালে গড়ে তোলেন রংপুর চিড়িয়াখানটি। এটি দর্শনার্থীদের জন্য ৯২ সালে খুলে  দেয়া হয়। প্রায় ২১ একর জমির উপর প্রতিষ্ঠিত এই চিড়িয়াখানাটিতে প্রতিদিন কয়েক হাজার দর্শনাথীর সমাগম হয়। 

প্রচণ্ড গরমে চিড়িড়য়াখানার প্রাণিগুলো অনেকটা নিস্তেজ হয়ে পড়ার উপক্রম হয়েছে।  তবে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ বলছে গরমের কারণে চিড়িখানার পশুদের বিশেষ যত্ন নেয়া হচ্ছে।  

রংপুর চিড়িয়াখানার কর্মকর্তা আম্বর আলী বলেন, প্রচন্ড গরমে মানুষের যেমন অস্বস্তি হচ্ছে। তেমনি প্রাণিদের অস্বস্তি হচ্ছে। এ অবস্থায় প্রাণিদের ভিটামিন সি ও স্যালাইন খাওয়ানো হচ্ছে।

বিডি প্রতিদিন/হিমেল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর