বরিশালের গৌরনদীতে মাদ্রাসায় শিশু ছাত্রকে কোমরে ও পায়ে শিকল বেঁধে পিটিয়ে আহত করায় থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছে অভিভাবক। রবিবার উপজেলার বাটাজোর ইউনিয়নের লক্ষনকাঠি গ্রামের হাজী আব্দুল হাই-কুলসুম হাফেজিয়া মাদ্রাসার নাজেরা শাখায় এ ঘটনা ঘটে।
আহত শিশু শিক্ষার্থী হলো-তরিকুল ইসলাম (১১)। সে উজিরপুর উপজেলার জল্লা ইউনিয়নের বাহেরঘাট গ্রামের মৃত আউয়াল হাওলাদারের ছেলে ও মাদ্রাসার নাজেরা শাখার ছাত্র।
আহত তরিকুল জানায়, শনিবার বিকেল তিনটার দিকে ক্লাসে পড়ানোর সময় অন্য এক ছাত্রের সাথে কথা বলায় তাকে দীর্ঘক্ষণ দাঁড় করিয়ে রাখেন শিক্ষক জিহাদুল ইসলাম। এ সময় তার প্রস্রাবের চাপ শুরু হলে টয়লেটে যাওয়ার কথা বলা সত্ত্বেও শিক্ষক জিহাদুল তাকে বাথরুমে যেতে দেয়নি। একপর্যায়ে তাকে মারধর করা হয়। এরপর কান ধরে ওঠবস করানো হয়েছে। তাকে শিকল দিয়ে বেঁধে পেটানো হয় বলে অভিযোগ করেন শিশু তরিকুল।
সে আরও জানায়, শনিবার বিকেল তিনটার দিকে তার পায়ের সাথে কোমরে শিকল পরানো হয়। সারারাত শিকল বন্দী করে রাখার পর নির্যাতন সইতে না পেরে রবিবার বেলা এগারোটার দিকে সে পালিয়ে বাড়িতে যায়।
তারিকুলের ভাই মাসুম হাওলাদার অভিযোগ করে বলেন, আমার ভাইকে শিকল দিয়ে বেঁধে নির্যাতনের বিষয়টি মাদ্রাসার পরিচালক দাদন মিয়া ও শিক্ষক ইলিয়াস হোসাইনকে জানানো হয়। তারা কোনো বিচার না করায় অভিযুক্ত শিক্ষকসহ তাদের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনার সঠিক বিচার দাবি করেছেন মাসুম।
তবে মারধর করার বিষয়টি অস্বীকার করলেও শিকল দিয়ে বেঁধে রাখার বিষয়টি স্বীকার করেছেন অভিযুক্ত শিক্ষক জিহাদুল ইসলাম ও মাদ্রাসার বড় হুজুর ইলিয়াস হোসাইন।
গৌরনদী মডেল থানার ওসি মো. ইউনুস মিয়া লিখিত অভিযোগ প্রাপ্তির সত্যতা স্বীকার করে বলেন, অভিযোগের তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই