চিনি আমদানি বন্ধ করে বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয়সহ পাঁচ লাখ আখচাষিকে উৎপাদনমুখী করতে বন্ধ থাকা ৬টি চিনিকল দ্রুত সচলের দাবি জানিয়ে রংপুরে সংবাদ সম্মেলন করেছে বন্ধ চিনিকল চালুকরণ টাস্কফোর্সের বেসরকারি সদস্যরা।
রবিবার সকালে নগরীর একটি কমিউনিটি সেন্টার মিলনায়তনে সংস্থার যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল্লাহ ক্বাফী রতন ও সদস্য মানস নন্দী সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি করেন।
তারা বলেন, ২০২০ সালের ১ ডিসেম্বর আখচাষি ও চিনিকল শ্রমিকদের কথা বিবেচনা না করে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার রাষ্ট্রায়ত্ত ১৫টি চিনিকলের মধ্যে কুষ্টিয়া, পাবনা, শ্যামপুর, সেতাবগঞ্জ, পঞ্চগড় ও গাইবান্ধার রংপুর চিনিকল লোকসানের অজুহাত দেখিয়ে বন্ধ করে দেয়। একই কায়দায় ওই বছর ৫০ হাজার শ্রমিক, লাখ লাখ পাটচাষিদের জীবন-জীবিকার কথা বিবেচনা না করে রাষ্ট্রায়ত্ত ২৬টি পাটকল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর মাড়াইস্থগিতকৃত চিনিকল পুনরায় চালু, চিনিকল লাভজনকভাবে চালানোর জন্য গত ৩০ সেপ্টেম্বর একটি টাস্কফোর্স গঠন করেন। এ টাস্কফোর্স চিনিকল চালুর ব্যাপারে নানা সুপারিশমালা প্রণয়ন করে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৫ ডিসেম্বর আখ মাড়াই কার্যক্রম স্থগিত করার আদেশ প্রত্যাহার করে সরকার তিনটি পর্যায়ে বন্ধ চিনিকল খুলে দেওয়ার প্রস্তাব অনুমোদন করে।
চিনিকল চালু হলে বেসরকারি বড় বড় কোম্পানির চিনি সিন্ডিকেট থেকে ভোক্তারা মুক্ত হতে পারবে। সেই সাথে পাঁচ লাখ আখচাষি ফসল উৎপাদনে ফিরতে পারবেন। চিনি আমদানি করার প্রয়োজন না হওয়ায় বাঁচবে বৈদেশিক মুদ্রা।
সংবাদ সম্মেলনে অবিলম্বে বন্ধ থাকা চিনিকল, পাটকলসহ সকল বড় শিল্প কারখানা খুলে দেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে সরকারের দৃষ্টি কামনা করা হয়।
বিডি প্রতিদিন/এমআই