রবিবার, ১১ মে, ২০১৪ ০০:০০ টা

অপহরণ নাটক সামাল দিতে হিমশিম চট্টগ্রাম পুলিশ

অপহরণ নাটক সামাল দিতে হিমশিম চট্টগ্রাম পুলিশ

চট্টগ্রামে চলছে অপহরণ নাটক! প্রতিপক্ষকে ঘায়েল কিংবা পাওনাদারদের ফাঁকি দিতে কখনো পরিবারের সদস্যদের ওপর অভিমান করে চলে 'অপহরণ' নাটকের মঞ্চায়ন। কথিত এসব ঘটনার ক্লু উদ্ঘাটন করতে গিয়ে পুলিশকে হিমশিম খেতে হচ্ছে। ব্যাহত হচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর স্বাভাবিক কর্মকাণ্ড।

কথিত অপহরণ নাটকের ফলে সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হবে বলে মনে করেন সমাজ বিজ্ঞানী ড. গাজী সালাউদ্দিন। তিনি বলেন, 'সম্প্রতি জনসাধারণের মধ্যে অপহরণের যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে তা কাজে লাগিয়ে নিজেদের স্বার্থ হাসিল করছে কিছু মানুষ। এ ধারা অব্যাহত থাকলে সমাজে চরম বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ভুয়া অপহরণের পেছনে ছুটতে ছুটতে এক সময় আসল অপহরণকে তাচ্ছিল্য হিসেবে নেবে। তাই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কথিত অপহরণ নাটক সৃষ্টিকারীদের বিষয়ে কঠোর হওয়া উচিত।'চট্টগ্রাম মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার বাবুল আকতার বলেন, 'নারায়ণগঞ্জে সাত অপহরণ খুনের ঘটনার পর হঠাৎ করে অপহরণের অভিযোগ বেড়ে গেছে। অভিযোগ পাওয়ার পর তা তদন্তে সত্যতা পাওয়া যায় না। মূলত প্রতিপক্ষকে ঘায়েল, পাওনাদারদের ফাঁসাতে অপহরণ নাটক করছেন কথিত অপহৃতরা।' জানা যায়, গত ৪ মে পরিবারে সময় না দেওয়ায় স্বামীর সঙ্গে অভিমান করে ছয় বছরের মেয়েকে নিয়ে অপহরণ নাটক সাজায় আয়েশা আকতার নামে এক গৃহবধূ। 'অপহৃত' এ গৃহবধূকে উদ্ধারের জন্য রাত সাড়ে ৮টা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত উদ্ধারযজ্ঞে ব্যস্ত ছিল পুলিশ। অভিযানের মুখে টিকে থাকতে না পেরে গভীর রাতে স্বেচ্ছায় পুলিশের কাছে ধরা দেন কথিত এ অপহৃতা ও তার মেয়ে। গত ৫ মে পাওনাদারদের টাকা পরিশোধের কথা ছিল হার্ডওয়্যার ব্যবসায়ী হাফিজুর রহমানের। কিন্তু পাওনাদারদের তিন কোটি টাকা জোগাড় করতে না পারায় ওই দিনে আত্দগোপনে চলে যায় হাফিজ। পরে তার স্ত্রী বাদী হয়ে হাটহাজারী থানায় একটি অভিযোগ করেন। কথিত এ অপহরণের দুই দিন পর নগরীর সিনেমা প্যালেস থেকে তাকে আটক করে পুলিশ। তিনি পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে জানান-অপহরণ নয়, পাওনারদের ফাঁকি দিতে তিনি আত্দগোপনে ছিলেন।

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর