আগামী দিনগুলোতে যুদ্ধের অবসান ঘটাতে ইউক্রেনের সঙ্গে সরাসরি আলোচনায় বসার প্রস্তাব দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন। গতকাল সকালে ক্রেমলিনে দেওয়া এক বক্তব্যে পুতিন এ প্রস্তাব দেন। তবে ইউরোপীয় নেতাদের দেওয়া ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে তিনি কোনো মন্তব্য করেননি। পুতিন ইউক্রেনের সঙ্গে সরাসরি আলোচনার প্রস্তাব দিয়ে বলেছেন, কোনো বিলম্ব ছাড়াই ১৫ মে’র মধ্যেই এটি শুরু হওয়া উচিত। তিনি শনিবার গভীর রাতে ক্রেমলিন থেকে দেওয়া বিরল এক ভাষণে, ‘আমরা সিরিয়াস আলোচনা চাই... সংঘাতের মূল কারণ উপড়ে ফেলতে এবং একটি দীর্ঘস্থায়ী ও টেকসই শান্তির দিকে এগিয়ে যাওয়া শুরু করতে চাই।’ যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ার স্টারমার ও ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁসহ ইউরোপীয় নেতারা ইউক্রেন সফর করে রাশিয়াকে ৩০ দিনের শর্তহীন যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে সম্মত হওয়ার আহ্বান জানানোর পর পুতিন এমন প্রস্তাব দিলেন। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বিষয়টি নিয়ে মস্কো চিন্তা করবে বলে জানিয়েছিলেন। তবে তিনি সতর্ক করে বলেছিলেন, ‘কোনো ধরনের চাপ দেওয়া হবে নিতান্তই অর্থহীন’।
আলোচনার আগে যুদ্ধবিরতি চাইলেন জেলেনস্কি : রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে কিয়েভের সঙ্গে সরাসরি আলোচনার প্রস্তাব দেওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, তার দেশ আলোচনায় বসবে তবে তার আগে রাশিয়াকে ১২ মে থেকে ৩০ দিনের নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হতে হবে। ইউক্রেনের এ প্রেসিডেন্ট বলেছেন, রাশিয়ানরা যে অবশেষে যুদ্ধ শেষ করার কথা ভাবছে, তা বেশ ইতিবাচক লক্ষণ। সমগ্র বিশ্ব অনেক দিন ধরে এর জন্য অপেক্ষা করছে। আর যে কোনো যুদ্ধ থামানোর প্রথম ও জরুরি শর্তই হলো যুদ্ধবিরতি। ‘একটি দিনও মানুষ হত্যা অব্যাহত রাখার কোনো কারণ থাকতে পারে না।’-বিসিসি
আমরা আশা করছি, রাশিয়া আগামীকাল ১২ মে থেকে পূর্ণাঙ্গ, টেকসই ও নির্ভরযোগ্য যুদ্ধবিরতিতে রাজি হবে, আর ইউক্রেনও তাদের সঙ্গে বসতে প্রস্তুত’, জেলেনস্কি এমনটাই বলেছেন বলে জানিয়েছে বিবিসি।