বৃহস্পতিবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

বঙ্গভবনে মিলনমেলা

নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশের বিজয়ের ৪৪ বছর পূর্তিতে বঙ্গভবনে এক বিজয় উৎসবের আয়োজন করা হয়। বরাবরের মতোই এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। এতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা, রাজনীতিক, সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তা, বিদেশি কূটনীতিক, ব্যবসায়ী প্রতিনিধি, সাংবাদিকসহ সমাজের নানা পেশার মানুষ অংশ নেন। গতকাল বিকালের এ আয়োজনে গুণীজনদের পদচারণে উসবমুখর হয়ে ওঠে বঙ্গভবন। আয়োজনটি পরিণত হয় এক মিলনমেলায়। সেই সঙ্গে বরেণ্য শিল্পীদের দেশাত্মবোধক ও লোকগান, শিশু শিল্পী আর সশস্ত্র বাহিনীর বাদক দলের সংগীতের মূর্ছনা পুরো আয়োজনে এনে দেয় ভিন্ন মাত্রা। বিকাল পৌনে ৪টায় স্ত্রী রাশিদা খানমকে সঙ্গে নিয়ে অনুষ্ঠানস্থল বঙ্গভবনের মাঠে আসেন রাষ্ট্রপতি। সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয় জাতীয় সংগীত। এর কিছুক্ষণ আগেই অনুষ্ঠানস্থলে আসেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপস্থিত যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা, বীরশ্রেষ্ঠদের পরিবারের সদস্যসহ আমন্ত্রিত অতিথিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেন এবং তাদের সার্বিক সহায়তার আশ্বাস দেন। এ সময় ভারত, শ্রীলঙ্কা ও মালদ্বীপের ন্যাশনাল ক্যাডেট কোরের সদস্যদের সঙ্গেও কুশল বিনিময় করেন তারা। এরপরই ভিভিআইপি এনক্লোজারে বিজয় দিবস উপলক্ষে কেক কাটেন। কেক কাটার পর তারা মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত-হাইকমিশনার, বিদেশি অতিথি, সুপ্রিমকোর্টের বিচারপতি, সংসদ সদস্য, তিন বাহিনীর প্রধানসহ সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তা, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, সুশীলসমাজের প্রতিনিধি ও আমন্ত্রিত অতিথিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। বঙ্গভবনের এ মিলনমেলায় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী, প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ। মন্ত্রীদের মধ্যে ছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, বিমানমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ, পানিসম্পদমন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবাহান চৌধুরী, ভূমি প্রতিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী প্রমুখ। এ ছাড়া প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ, সরকারি কর্ম কমিশনের চেয়ারম্যান ইকরাম আহমেদও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।সিপিবি সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী, প্রবীণ আইনজীবী ড. কামাল হোসেন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আনিসুল হক, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ফরাস উদ্দিন, দেশের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ, গণমাধ্যমের সম্পাদক ও সিনিয়র সাংবাদিক বিজয় দিবসের সংবর্ধনায় যোগ দেন। কূটনীতিকদের মধ্যে অংশ নেন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাট, মিসরের রাষ্ট্রদূত ও ডিপ্লোম্যাটিক কোরের ডিন মাহমুদ ইজ্জত, রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার এ নিকোলাভ এবং ভারতের বিদায়ী হাইকমিশনার পঙ্কজ শরণ। এ ছাড়া কাতার, সৌদি আরব, ইরান, ডেনমার্কসহ বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকরাও অনুষ্ঠানে আসেন।

এ সময় রফিকুল আলম, শাকিলা জাফর, কিশোর দাস, সেলিনা আক্তার চুমকি, ফকির আলমগীরসহ খ্যাতনামা শিল্পীরা গান পরিবেশন করেন। গান পরিবেশনে বাদ পড়েনি শিশু একাডেমির শিল্পী ও ঢাকা সাংস্কৃতিক দলের তরুণ শিল্পীরাও।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর