মেয়েদের বিয়ের বয়স ১৮ বছর রেখে ‘বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন ২০১৬’ পাসের দাবিতে দেশের ২৪ জন বিশিষ্ট ব্যক্তি গতকাল বিবৃতি দিয়েছেন। তারা মনে করেন, ১৮ বছরের কম বয়সে মেয়েদের বিয়ে দেওয়ার ‘বিশেষ বিধান’ রেখে আইনটি পাস করা হলে তা হবে টেকসই উন্নয়ন, নারীর ক্ষমতায়ন ও অধিকার প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধক। তাদের মতে, ১৮ বছরের নিচে মেয়েদের বিয়ে দেওয়ার বিধান বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ও জাতীয় নীতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক এবং শিশুদের প্রতি চরম মানবাধিকার লঙ্ঘন। এই বিশিষ্টজনরা বলেন, নারীর ক্ষমতায়নে বিশ্বাসী বর্তমান সরকারের এটি পশ্চাত্পদ সিদ্ধান্ত। এ ছাড়া ‘তবে’ বা ‘বিশেষ বিধান’ রেখে কোনো আইন প্রণয়ন করা হলে তা আইনি ভিত্তিকে দুর্বল করে দেবে। আইনে এ ধরনের বিধান রাখা হলে শিক্ষার ক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়বে বাংলাদেশ। একই সঙ্গে অপরিণত বয়সে সন্তান ধারণের ফলে বাড়বে মাতৃমৃত্যু ও শিশুমৃত্যুর হার। বাড়বে নারী নির্যাতন। সর্বোপরি টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন বাধাগ্রস্ত হবে। তাই বিয়ের বয়স কমিয়ে নয়, বরং যেসব কারণে বাল্যবিবাহ সংঘটিত হয়— তা দূর করার জন্য পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি। বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারী ২৪ জন বিশিষ্ট ব্যক্তি হলেন অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, শাহদীন মালিক, সৈয়দ আবুল মকসুদ, সেলিনা হোসেন, এম এ মুহিত, রোকেয়া কবির, আয়েশা খানম, মাহফুজা খানম, রোকেয়া প্রাচী, নাসিমুন আরা হক মিনু, তানিয়া হক, জোবেরা রহমান লিনু, সালমা খান, নাজমা সিদ্দিকী, জাকিয়া হাসান, ড. আনু মুহাম্মদ, রুহিন হোসের প্রিন্স, বজলুর রশীদ ফিরোজ, ড. আমেনা মহসীন, ড. বদিউল আলম মজুমদার, এম হাফিজউদ্দিন খান, সালমা আলী, রাশেদা কে চৌধুরী ও ড. তোফায়েল আহমেদ।