শিরোনাম
মঙ্গলবার, ১৫ জানুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা

নবরূপে ফিরছে খুলনা

মেয়রের আল্টিমেটাম, উন্নয়ন কমিটির কর্মসূচি

সামছুজ্জামান শাহীন, খুলনা

নবরূপে ফিরছে খুলনা

খুলনা মহানগরীর ব্যস্ততম পিকচাপ প্যালেস মোড়। ফুটপাথ দখল করে দীর্ঘদিন ধরে এখানে ব্যবসা করছিল হকাররা। সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে হকারদের সরিয়ে এখন ফুটপাথ দখলমুক্ত করা হয়েছে। একইভাবে নগরীর ময়লাপোতা মোড়, রূপসা স্ট্যান্ড রোড ও শপিং কমপ্লেক্স এলাকায় যানবাহনের অবৈধ পার্কিং বন্ধ করা হয়েছে। শিববাড়ী মোড়ে বিশাল হরিণের ভাস্কর্য, ডাকবাংলো মোড়ে ডিজিটাল বিলবোর্ড স্থাপন করা হয়েছে। এরপর উচ্ছেদ করা হচ্ছে নগরীজুড়ে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা ব্যানার, প্যানা-পোস্টার। নাগরিক নেতাদের দাবি, সবকিছু মিলিয়ে পরিচ্ছন্ন নতুন চেহারায় ফিরতে শুরু করেছে খুলনা নগরী। ধারাবাহিকভাবে সমন্বিত এসব কর্মকা- চললে খুলনাকে পরিকল্পিত নগরী হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব হবে। খুলনার সিটি মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক বলেন, আধুনিক নগরী হিসেবে খুলনাকে গড়ে তুলতে ধারাবাহিক কর্মযজ্ঞ শুরু হয়েছে। প্রথম অংশে ফুটপাথ দখলমুক্ত ও যানজট নিরসন করে পরিচ্ছন্ন নগরী গড়ে তোলা হবে। এরপর জলাবদ্ধতা নিরসনে খালের অবৈধ দখল উচ্ছেদ ও ড্রেনেজ ব্যবস্থা সংস্করণের কাজ শুরু হবে। বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির সভাপতি শেখ মোশাররফ হোসেন বলেন, গত কয়েকদিনে খুলনার চেহারা বদলাতে শুরু করেছে। খুলনা-যশোর রোডের বিশাল এলাকার ফুটপাথ দখল মুক্ত হয়েছে। সেই সঙ্গে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ ও যত্রতত্র পার্কিং বন্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে প্রশাসনের তৎপরতা চোখে পড়ার মতো। এদিকে খুলনার জলাবদ্ধতা নিরসনে ময়ূর নদী ও সংযুক্ত ২২ খালের অবৈধ দখল উচ্ছেদ, ড্রেনেজ ব্যবস্থার দ্রুত সংস্কারসহ সাত দফা দাবিতে কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটি। সংগঠনের মহাসচিব শেখ আশরাফ উজ জামান বলেন, বর্তমান সিটি মেয়রের নির্বাচনী ইশতেহারের প্রথম দফাই ছিল খুলনার সব খালের অবৈধ দখল উচ্ছেদ ও ড্রেনেজ ব্যবস্থা সংস্কার করে শহরকে জলাবদ্ধতা মুক্ত করা। আমরা অনতিবিলম্বে এর বাস্তবায়ন দেখতে চাই। তিনি বলেন, পরিকল্পিত নগরী গড়ে তুলতে শহরের সব সরকারি-বেসরকারি পুকুর ও জলাশয় সংরক্ষণ, শহর রক্ষা বাঁধ সংস্কারসহ রিভারভিউ রোড ও দৃষ্টিনন্দন পার্ক নির্মাণ করতে হবে। এ ছাড়া যানজট নিরসনে ব্যস্ততম সড়কগুলোকে প্রশস্তকরণ ও ফুটপাথ দখলমুক্ত করতে হবে। এসব কাজ দ্রুত বাস্তবায়নের দাবিতে আগামী ২১ জানুয়ারি নগর ভবনের সামনে সকাল ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি ও স্মারকলিপি প্রদানসহ তিন দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। নাগরিক নেতাদের মতে, নগরীর সৌন্দর্যবর্ধনের বড় বাধা অবৈধ বিলবোর্ড, প্যানা-ব্যানার। এ ছাড়া সড়কে যানজট বড় সমস্যা। সিটি করপোরেশন এক সময় ১ হাজার ৮০০ ইজিবাইকের লাইসেন্স দিলেও সে সংখ্যা এখন ৩০ হতে ৪০ হাজার। সিটি মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক বলেন, ১৫ জানুয়ারির পর শহরের বাইরের কোনো ইজিবাইক শহরে প্রবেশ করতে পারবে না। লাইসেন্স বিহীন অবৈধ যানবাহন নিয়ন্ত্রণে এনে আগামী দুই মাসের মধ্যে খুলনা থেকে যানজট নিরসন করা হবে। অবৈধ বিলবোর্ড, প্যানা-ব্যানার উচ্ছেদের কাজ শুরু হয়েছে। আর সরকারি বরাদ্দের প্রথম কিস্তি হাতে পেলেই খালের অবৈধ দখল উচ্ছেদ ও ড্রেনেজ সংস্কারের কাজ শুরু হবে।

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর