মঙ্গলবার, ২ এপ্রিল, ২০১৯ ০০:০০ টা

ফায়ার সার্ভিসের মাথা ব্যথা ৩ লাখ ভবন

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের তথ্য মতে চট্টগ্রাম নগরে ৩ লাখ ভবন আছে। এর মধ্যে ২ লাখ ৯১ হাজার ভবনই অগ্নিঝুঁকিপূর্ণ। অতিঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে ৪১টি মার্কেট ও ১২টি বস্তি। ফলে বর্তমান সময়ে অগ্নিঝুঁকি নিয়ে চরম মাথাব্যথা হয়ে দাঁড়িয়েছে নগরের ২ লাখ ৯১ হাজার ভবন। অবশ্য অগ্নিঝুঁকিতে থাকা ভবনগুলো ‘ফায়ার সেফটি’র বিষয়টি সম্পূর্ণ কঠোর মনিটরিংয়ের আওতায় আনতে ফায়ার সার্ভিস নগরকে আটটি   জোনে ভাগ করেছে। প্রতিটি জোনে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ২৪ জন কর্মকর্তাকে। ইতিমধ্যে তারা মনিটরিং কার্যক্রম শুরু করেছেন। একই সঙ্গে নগরের ভবনগুলো মনিটরিং করতে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) গতকাল সাত সদস্যের একটি সার্ভে টিম গঠন করে। ফায়ার সার্ভিস চট্টগ্রামের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ জসিম উদ্দীন বলেন, ‘কোটি কোটি টাকা খরচ করে ভবন তৈরি করেন। কিন্তু লাখ টাকা খরচ করে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা করতে পারেন না। কিন্তু একটি দুর্ঘটনা ঘটলেই আবার কোটি টাকার মতো খরচ হয়ে যায়, ঘটে প্রাণহানিও।’ চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সামসুদ্দোহা বলেন, ‘নগরের ভবনগুলো মনিটরিং করতে সাত সদস্যের একটি সার্ভে টিম গঠন করা হয়েছে। এ টিম ভবন নির্মাণে ‘ইমারত নির্মাণ বিধিমালা’ অনুসরণ করেছে কিনা, ভবনে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা আছে কিনা, ঝুঁকিপূর্ণ কিনা, অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা আছে কিনাÑ এসব বিষয় খতিয়ে দেখবে। ফায়ার সার্ভিস কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ভবন নির্মাণে সিডিএর অনুমোদনের পর ফায়ার সার্ভিসেরও অনাপত্তিপত্র (এনওসি) এবং ছাড়পত্র নেওয়া বাধ্যতামূলক। কিন্তু মাত্র ৭ শতাংশ ভবনের জন্য ছাড়পত্রের আবেদন করা হয়েছে।

সর্বশেষ খবর