সোমবার, ৮ এপ্রিল, ২০১৯ ০০:০০ টা

বরাদ্দের ৫ বছরেও হয়নি ভেটেরিনারি ক্লিনিক

শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়

শেকৃবি সংবাদদাতা

শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) অ্যানিমেল সায়েন্স এ্যান্ড ভেটেরিনারি মেডিসিন অনুষদের শিক্ষার্থীদের জন্য ভেটেরিনারি ক্লিনিক নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। উন্নত প্রাণিসম্পদ সেবায় তত্ত্বীয় শিক্ষার পাশাপাশি হাতে-কলমে অর্থাৎ বাস্তবসম্মত শিক্ষা প্রদানের লক্ষ্যে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। অথচ ক্লিনিক নির্মাণের উদ্দেশে বাজেট বরাদ্দ হওয়ার ৫ বছর অতিক্রম হলেও সংশ্লিষ্ট নির্মাণ কাজে দেখা যায়নি কোন অগ্রগতি। যার ফলে সময়োপযোগী ব্যবহারিক শিক্ষা  থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন এ অনুষদের ৫ শতাধিক শিক্ষার্থী। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সূত্র জানায়, ২০১৪ সালে তৎকালীন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. সাদাত উল্লা’র সময়ে ভেটেরিনারি ক্লিনিকের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট বাজেট থেকে ১ কোটি ৪৫ লক্ষ টাকা বরাদ্দ  দেওয়া হয়। পরবর্তীতে ২০১৬ সালে ৩ তলা বিশিষ্ট ৪৯০ বর্গমিটারের একটি ভেটেরিনারি ক্লিনিকের অনুমোদন দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। অথচ এই বাজেট বরাদ্দের ৫ বছরেও দৃশ্যমান হয়নি ক্লিনিকটি। সংশ্লিষ্ট অনুষদীয় এমএসের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘প্রথম দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি ভবনের পাশে নামমাত্র একটি অস্থায়ী ক্লিনিক স্থাপিত হয়েছিল। তবে কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির বর্ধিতাংশের কাজের স্বার্থে অস্থায়ী ক্লিনিকটি ভেঙে ফেলা হয়েছে।’ প্রতিবেশী দেশ ভারতের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে নিজস্ব  ভেটেরিনারি ক্লিনিক থাকায় সেখানকার শিক্ষার্থীরা ব্যবহারিক জ্ঞানে তাদের থেকে অনেক সমৃদ্ধ উল্লেখ করে সম্প্রতি ভারত থেকে ইন্টার্নশিপ শেষ করে আসা শিক্ষার্থীরা ইন্টার্নকালীন সম্মুখীন হওয়া নানাবিধ সমস্যার কথা বলেন।

 এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী মো. আজিজুর রহমান বলেন, ‘ভেটেরিনারি ক্লিনিক নির্মাণে গঠিত আহ্বায়ক কমিটি আমাদের যে নকশা করে দিচ্ছেন তার খরচ বরাদ্দের বাইরে চলে যাচ্ছে। পরে আমরা একটি নকশা প্রস্তাব করেছিলাম কিন্তু তা কমিটির পছন্দ হয়নি।’ আহ্বায়ক কমিটিকে বারবার চিঠি দেওয়া হলেও চিঠির উত্তর পাওয়া যায় না বলেও অভিযোগ করেন তিনি। প্রসঙ্গত, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে পাবলিক হেল্থ এবং মেডিসিন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কেবিএম সাইফুল ইসলামকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটির ওপর এতদসংশ্লিষ্ট কাজ বাস্তবায়নের দায়িত্ব অর্পণ করা হয়েছিল। জানতে চাইলে কমিটির আহ্বায়ক ড. সাইফুল বলেন, ‘প্রকৌশল বিভাগ  থেকে চিঠি পাওয়ার সঙ্গ্ েসঙ্কেই ভেটেরিনারি ক্লিনিকের নকশা পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রকৌশল বিভাগ নকশার চিঠি হারিয়ে ফেলায় পরবর্তীতে আমরা আবারও চিঠি দিয়েছি।’

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর