বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০১৯ ০০:০০ টা

জালিয়াত শিক্ষার্থীদের বহিষ্কার দাবিতে ঢাবিতে মানববন্ধন

ভিপি নুর দোষলেন প্রশাসনকে

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক

প্রশ্ন ফাঁস ও জালিয়াতি করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বিভিন্ন শিক্ষাবর্ষে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থী ও তাদের সহযোগীদের আজীবন বহিষ্কার এবং জালিয়াত চক্রের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। গতকাল দুপুরে অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে মানববন্ধন করেন তারা। এ সময় দাবি না মানলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন শিক্ষার্থীরা। পরে এতে সংহতি প্রকাশ করেন ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুর, সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসেন ও তাদের সংগঠন কোটা আন্দোলনের প্লাটফর্ম ‘বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ’। মানববন্ধনে নুরুল হক নুর বলেন, ‘ঢাবির কিছু শিক্ষার্থী জালিয়াতির মাধ্যমে ভর্তি হয়ে সুনাম ক্ষুণœ করেছে। কিন্তু দুঃখজনক হলো ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষ থেকে প্রশ্নপত্র ফাঁস হলেও প্রশাসন ব্যর্থতা ঢাকতে সব সময় দায়সারা বক্তব্য দিয়েছে। কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেয়নি। জালিয়াতির ঘটনা আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের কাছ থেকে পাইনি। সাংবাদিকরা এই ঘটনা বের করেছেন। এটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দুর্বলতা।’ অবিলম্বে জালিয়াতির মাধ্যমে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের ছাত্রত্ব বাতিল করে আজীবনের জন্য বহিষ্কারের দাবি জানান নুরুল হক নুর। তিনি বলেন, যারা ইতিমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের হয়ে গেছেন, তাদের সনদ বাতিল করতে হবে, প্রত্যেক জালিয়াতের নাম-পরিচয়সহ পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে হবে, যাতে অসৎ উপায়ে কেউ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার দুঃসাহস না করে। ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে  ঢাবির ঘ-ইউনিটের ভর্তিপরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ উঠলে সেই পরীক্ষা বাতিলের দাবিতে অনশন করে আলোচনায় এসেছিলেন ডাকসুর সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসেন। মানববন্ধনে তিনি বলেন, আমি একা অনশন করে ঘ-ইউনিটের পরীক্ষা বাতিল করে পুনরায় নেওয়ার দাবি জানিয়েছিলাম। পাশাপাশি জালিয়াতির মূল হোতাদের বহিষ্কার ও ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের নিরাপত্তাবিধানের দাবিও জানিয়েছিলাম। পরীক্ষা বাতিল করে পুনরায় নেওয়া হলেও পরের দাবিগুলোর বিষয়ে প্রশাসনকে কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি।’ মানববন্ধনে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুন, যুগ্ম আহ্বায়ক ফারুক হোসেন, স্বতন্ত্র জোটের সাবেক ভিপি প্রার্থী অরণি সেমন্তি খানসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

পরে একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য কার্যালয়ে যান শিক্ষার্থীরা। জালিয়াত শিক্ষার্থীদের আজীবন বহিষ্কারসহ কয়েক দফা দাবিতে উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামানের কাছে স্মারকলিপি দেন তারা।

সর্বশেষ খবর