বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০১৯ ০০:০০ টা

শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় গুরুত্ব দেওয়ার পরামর্শ

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিশ্ববাজারে বাংলাদেশ দ্বিতীয় পোশাক উৎপাদনকারী দেশ এবং এটি বাংলাদেশের সর্বাধিক বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জনকারী খাত হলেও এ খাতে শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়ে মনোযোগ দেওয়া হয়নি। পোশাক খাতে প্রায় ৪২ লাখ মানুষ প্রত্যক্ষভাবে নিয়োজিত, যাদের ৬০ শতাংশই নারী। বিগত সময়ে এ খাতে সরকার কর্মপরিবেশ উন্নয়ন, শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি, দক্ষ কর্মী তৈরিতে প্রশিক্ষণসহ নানা পদক্ষেপ নিলেও এখনো শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টি সেভাবে প্রাধান্য পায়নি। গতকাল রাজধানীর এক হোটেলে আয়োজিত ‘সাসটেইনবল অ্যাপারেল সামিট-২০১৯’ অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন। সামিটে প্রধান অতিথি ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্শি। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশে ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত ম্যারি অনিক বর্ডিন এবং বাংলাদেশে নেদারল্যান্ডস দূতাবাসের ডেপুটি হেড অব মিশন এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক ও উন্নয়ন সহযোগিতাবিষয়ক প্রধান জারন স্টিগস।

 এসএনভি নেদারল্যান্ডস ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন ও ডাচ্-বাংলা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিবিসিসিআই) যৌথভাবে এ সম্মেলনের আয়োজন করে। এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন এসএনভির কান্ট্রি ডিরেক্টর জেসন ব্যালেঞ্জার। সামিটে সমাপনী বক্তব্য রাখেন ডাচ্-বাংলা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাস্ট্রির প্রেসিডেন্ট ও বিজিএমইএর সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ফারুক হাসান। টিপু মুন্শি বলেন, পোশাক শ্রমিকদের সম্মানজনক মজুরির পাশাপাশি তাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টিও জরুরি। কারণ এ খাতে শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা না হলে এর স্বাভাবিক উৎপাদন প্রক্রিয়া ব্যাহত হবে; যা আমাদের সামগ্রিক অর্জনকে প্রভাবিত করবে। 

জারন স্টিগস বলেন, পোশাক শিল্প খাতে কর্মরত ৪০ লাখ শ্রমিকের জন্য টেকসই উন্নয়ন অপরিহার্য, যেহেতু এর অধিকাংশই নারী শ্রমিক। বাংলাদেশে একমাত্র পোশাক শিল্প খাতই  অনগ্রসর নারীদের অর্থনৈতিক মুক্তি দিতে সক্ষম হয়েছে। বাংলাদেশের টেকসই অর্থনৈতিক উন্নতির জন্য এসব নারী শ্রমিকদের স্বাস্থ্য ও কল্যাণের প্রতি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া উচিত।

সামিটে বাংলাদেশে পোশাক শিল্প শ্রমিকদের টেকসই উন্নয়নের জন্য এসএনভি নেদারল্যান্ডস ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশনের পক্ষ থেকে তিনটি ‘ইনক্লুসিভ বিজনেস মডেল’ উপস্থাপন করা হয়।

সর্বশেষ খবর