সোমবার, ২৯ জুলাই, ২০১৯ ০০:০০ টা

গত বছরে বৈদেশিক সহায়তা ছাড় ৫৩ হাজার কোটি টাকা

বৈদেশিক ঋণ ৩৭ হাজার ৯৪২ মিলিয়ন ডলার

নিজস্ব প্রতিবেদক

গত পাঁচ বছরে দেশের ব্যাংকিং খাতের আমানত ৫৮ দশমিক ৫৫ শতাংশ বাড়ার পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ ঋণ বেড়েছে ৭৯ দশমিক ১৩ শতাংশ। পাশাপাশি গত ২০১৮-১৯ অর্থবছরে বৈদেশিক সহায়তা ছাড় হয়েছে ৬ হাজার ২১০.০৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বা ৫২ হাজার ৭৫৫ লাখ ৪২ কোটি টাকা (৮৫ টাকা ডলার হিসাবে)। তবে একই সময়ে বৈদেশিক সহায়তার প্রতিশ্রুতি পাওয়া গিয়েছিল ৯ হাজার ৭৯৫.৮৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের। গত জুন মাস পর্যন্ত বাংলাদেশের বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ ৩৭ হাজার ৯৪২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। আগামী বছরগুলোতে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ  কেন্দ্র, এমআরটি, মাতারবাড়ীর মতো বড় বড় প্রকল্পের কারণে  বৈদেশিক ঋণ বাড়বে বলে জানানো হয়। সংসদ ভবনে গতকাল অনুষ্ঠিত অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এসব তথ্য জানানো হয়।

বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন কমিটির সভাপতি আবুল হাসান মাহমুদ আলী। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, মো. আবদুস শহীদ, মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী, আবুল কালাম মো. আহসানুল হক চৌধুরী, আহমেদ ফিরোজ কবির, রুমানা আলী এবং রানা মোহাম্মদ সোহেল বৈঠকে অংশ নেন। বৈঠকে আরও জানানো হয়েছে, বাংলাদেশ নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হওয়ার এবং বিশ্ব অর্থনৈতিক পরিস্থিতির কারণে বিশ্বব্যাংক ও জাপানসহ উন্নয়ন সহযোগীরা তাদের ঋণের শর্তাবলি আগের  চেয়ে কঠিনতর করেছে। বিদ্যুৎসহ অবকাঠামো খাতে অনমনীয় ঋণ সংগ্রহ করা হচ্ছে। এতে ভবিষ্যতে অনমনীয় ঋণের পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে। এ ছাড়া বৈঠকে আরও জানানো হয়, ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরে বাংলাদেশ ব্যাংক সরকারকে লভ্যাংশ দিয়েছে ৬৮৯ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। একই সময়ে সরকার বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়েছে ২১ হাজার ৭৬৭ কোটি টাকা। বৈঠকের কার্যপত্র থেকে জানা যায়, গত বছর একই সময় তা ছিল ৩৩ হাজার ৫১১ মিলিয়ন ডলার। বৈঠকে ২০২০ সালে বৈদেশিক ঋণ ৪৪ হাজার ৫৮৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, ২০২১ সালে ৫১ হাজার ৬১২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ও ২০২২ সালে ৫৮ হাজার ৯১২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার উন্নীত করার কর্মপরিকল্পনা তুলে ধরা হয়। কার্যপত্র থেকে আরও জানা যায়, ৮টি রাষ্ট্রায়ত্তসহ দেশের ৫৯টি বাণিজ্যিক ব্যাংকে ২০১৪ সালে আমানতের পরিমাণ ছিল ৭ লাখ ১০ হাজার ৪২৩ কোটি টাকা। ২০১৯ সালের এপ্রিল মাস পর্যন্ত তা  বেড়ে হয়েছে ১১ লাখ ২৬ হাজার ৩৭৩ কোটি টাকা। বৃদ্ধির হার ৫৮ দশমিক ৫৫ শতাংশ। অন্যদিকে ২০১৪ সালের ব্যাংকগুলোর ঋণের পরিমাণ ছিল ৫ লাখ ২৮ হাজার ৭৫৫ কোটি টাকা। গত এপ্রিল মাসে এসে ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৯ লাখ ৪৭ হাজার ১৭৭ কোটি টাকা। ঋণ বৃদ্ধির হার ৭৯ দশমিক ১৩ শতাংশ।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের সচিব, সিনিয়র সচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নরসহ সংশ্লিষ্ট ঊধ্বর্তন কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

সর্বশেষ খবর