শুক্রবার, ৮ নভেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

রাজধানীতে বন্দুকযুদ্ধে একজনের মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর ভাটারায় ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ডিবির সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে লাভলু মিয়া (৫০) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার রাত ২টার দিকে ১০০ ফিট প্রথম ব্রিজ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় মো. সেলিম চৌকিদার, মো. কামাল হোসেন ও মো. রাসেল নামে আরও তিনজন আহত হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে দুটি পিস্তল, ৫ রাউন্ড গুলি, তিনটি র‌্যাবের জ্যাকেট, দুটি ওয়ারলেস সেট, এক জোড়া হ্যান্ডকাফ এবং ডাকাতি কাজে ব্যবহৃত একটি মাইক্রোবাস উদ্ধার করা হয়। ডিবি বলছে, নিহত ও আহত চারজনই ডাকাত দলের সদস্য।

ডিএমপির ডিসি (মিডিয়া) মো. মাসুদুর রহমান জানান, ১৯ অক্টোবর বাড্ডার প্রগতি সরণিতে একটি লোকাল বাসের গতি রোধ করে একজন যাত্রীকে জোর করে নামানো হয়। পরে তার কাছে থাকা ৫ লাখ ৩৫ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে তাকে ডেমরা ব্রিজে ফেলে দেয় ডাকাতরা। এ ঘটনায় বাড্ডা থানায় একটি মামলা হয়। ওই মামলার ছায়া তদন্ত করে ডিবি উত্তর। মামলার তদন্তে গিয়ে নিহত ও আহতদের নাম পাওয়া যায়। তাদের ধরতে ভাটারার ১০০ ফিট এলাকায় অভিযান চালানো হয়।

বিষয়টি টের পেয়ে একটি মাইক্রোবাস থেকে ডিবির সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। ডিবিও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালায়। এতে মাইক্রোবাসে থাকা অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের মধ্যে তিনজন গুলি করতে করতে পালিয়ে যায়। পরে মাইক্রোবাস থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ওই চার ডাকাতকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়। এদের মধ্যে চিকিৎসকরা লাভলুকে মৃত ঘোষণা করেন। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে ভাটারা থানায় মামলা করা হয়েছে।

নিহত লাভলুর স্ত্রী আনোয়ারা বেগম জানান, লাভলুর বাবার নাম হাবিবুর রহমান। থাকতেন গাজীপুর চৌরাস্তা এলাকায়। সেখানে কাপড়ের ব্যবসা করতেন। বর্তমানে বেকার ছিলেন। বুধবার সকালে তিনি বাসা থেকে বের হন। বিকালে তার ফোন নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়। পরে রাত ৩টার দিকে খবর পান ডিবির গুলিতে তিনি আহত হয়েছেন। এরপর গতকাল ভোরে ঢামেক হাসপাতালে গিয়ে তার লাশ দেখতে পান। দুই ছেলে ও এক মেয়ের জনক ছিলেন লাভলু। তার নামে কোনো মামলাও ছিল না বলে দাবি করেন নিহতের স্ত্রী।

সর্বশেষ খবর