করোনা ঝুঁকির মধ্যেই পূর্ণাঙ্গভাবে চালু হলো খুলনা অঞ্চলের রাষ্ট্রায়ত্ত ৯টি পাটকল। গতকাল ভোর থেকে মিলের প্রায় ১০ হাজার স্থায়ী ও বদলি শ্রমিক কাজে যোগ দিয়েছেন। এর আগে ২৬ এপ্রিল থেকে সীমিত পরিসরে উৎপাদন শুরু করে পাটকলগুলো। বিজেএমসি কর্মকর্তারা বলছেন, পাটজাত চটের ব্যাগ ও বস্তার চাহিদা থাকায় মিলগুলোতে এবার পুরোদমে উৎপাদন শুরু হয়েছে। তবে একই সঙ্গে সংক্রমণ ঠেকাতে প্রতিটি মিলে স্ক্যান থার্মোমিটারসহ স্বাস্থ্য সুরক্ষার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। জানা যায়, গতকাল ভোর থেকে ক্রিসেন্ট, খালিশপুর, দৌলতপুর, প্লাটিনাম জুবিলি জুট মিল, স্টার, আলিম, জেজেআই, ইস্টার্ন ও কার্পেটিং জুটমিলে স্থায়ী শ্রমিকরা কাজে যোগ দেয়। মিলের উৎপাদন বিভাগে যেখানে স্থায়ী শ্রমিক অনুপস্থিত রয়েছে, সেখানে বদলি শ্রমিক নেওয়া হয়েছে। এতে প্রায় এক মাস সাধারণ ছুটির পর আবারো কর্মমুখর হয়ে উঠেছে খুলনা শিল্পাঞ্চল। বিজেএমসির খুলনা জোনের সমন্বয়কারী মো. বনিজ উদ্দিন মিঞা জানান, খাদ্য অধিদফতর ও কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) চাহিদা মতো চটের বস্তা তৈরির জন্য পাটকলগুলোতে উৎপাদন শুরু হয়েছে। প্রাথমিকভাবে প্রতিদিন গড়ে মিলগুলোতে ৭০ মেট্রিকটন পাটপণ্য উৎপাদন করা হবে।
এরই মধ্যে শ্রমিকদের চার সপ্তাহের বকেয়া মজুরিও দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, সংক্রমণ এড়াতে সতর্কভাবে দূরত্ব বজায় রেখে শ্রমিকরা কাজ করছেন। যাদের জ্বর-সর্দি বা কাশির সমস্যা রয়েছে তাদের কাজে যোগ দিতে নিষেধ করা হয়েছে।