রবিবার, ১৭ মে, ২০২০ ০০:০০ টা

বৌদ্ধমন্দির ভাঙচুরের পরিকল্পনা হয় রকি বড়ুয়ার বাড়িতে

প্রতিদিন ডেস্ক

লোহাগাড়া উপজেলার চরম্বা বিবিরবিলা এলাকায় স্থানীয় বৌদ্ধমন্দিরে হামলার পরিকল্পনা হয় বিতর্কিত রকি বড়ুয়ার বাড়িতে। পুরো হামলার সঙ্গে রকি বড়ুয়ার অনুসারী ১৫-২০ জন জড়িত থাকলেও ৪ মে বৌদ্ধমন্দির ভাঙচুরে অংশ নেন তিনজন। অন্যরা হামলায় সহযোগী ও ব্যাকআপ হিসেবে কাজ করেন। খবর বাংলানিউজের। পুকুরে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে বিরোধকে ধর্মীয় সংঘাতে রূপ দিয়ে ফায়দা লুটতে পরিকল্পনা করেন রকি বড়ুয়া। ঘটনার আগে ৩ মে রাতে তার বাড়িতেই এক বৈঠকে হামলার ছক আঁকা হয়। কারা অংশ নেবেন তা নিয়ে সিদ্ধান্ত হয় বৈঠকে। দিবাগত ভোররাত ৩টা থেকে ৪টার মধ্যে বৌদ্ধমন্দিরে ভাঙচুর চালানো হয়। ৪ মে বৌদ্ধমন্দিরে হামলার ঘটনাকে সাম্প্রদায়িক সংঘাতে রূপ দিতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজের অনুসারীদের দিয়ে গুজব ছড়াতে থাকেন রকি বড়ুয়া। গতকাল বৌদ্ধমন্দিরে ভাঙচুরের ঘটনায় রকি বড়ুয়ার বাবা জয়সেন বড়ুয়ার দায়ের করা মামলায় গ্রেফতার কামাল উদ্দীন নামে এক আসামির জবানবন্দিতে উঠে এসেছে এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য। চট্টগ্রামের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ কায়সারের আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন কামাল উদ্দীন। এর আগে ১৫ মে রাতে লোহাগাড়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. রাশেদুল ইসলামের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে কামাল উদ্দীনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আদালতসূত্র জানান, স্বীকারোক্তিতে কামাল উদ্দীন উল্লেখ করেন, তিনিসহ মোট তিনজন মন্দিরে সরাসরি হামলায় অংশ নেন। হামলার সময় রকি বড়ুয়ার নির্দেশে আরও ১৫-২০ জন বিভিন্ন পয়েন্টে পাহারা দেন। হামলার আগে প্রায় দুই ঘণ্টা রকি বড়ুয়ার বাড়িতে সবাইকে নিয়ে বৈঠক হয়।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর