রবিবার, ৩১ মে, ২০২০ ০০:০০ টা

বরিশালে হুঁশিয়ারি বিআইডব্লিউটিএর

রাহাত খান, বরিশাল

দীর্ঘ ২ মাস পর আজ থেকে শুরু হচ্ছে বরিশালসহ দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন স্থান থেকে ঢাকা রুটের যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচল। এ লক্ষ্যে আগাম টিকিট বিক্রি এবং লঞ্চগুলো ধোয়া-মোছাসহ চলছে জোর প্রস্তুতি। করোনা এড়াতে টিকিট কাউন্টারগুলোতে সামাজিক দূরত্ব রক্ষা করে টিকেট বিক্রি হলেও লঞ্চে স্বাস্থ্য বিধি রক্ষা করা যাবে কিনা তা নিয়ে সংশয় থেকেই যাচ্ছে। তবে আগাম টিকেট কেটে ডেক যাত্রীদের লঞ্চে উঠানো হলে শৃঙ্খলা রক্ষা করা সম্ভব বলে দাবি লঞ্চ মালিকদের। এদিকে সরকারি নির্দেশ না মানলে লঞ্চগুলোকে রুটে চলতে দেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে নৌ রুট নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ বিআইডব্লিউটিএ। ৩০ মে’র পর থেকে সীমিত পরিসরে গণপরিবহন চালুর সরকারি ঘোষণায় ২ মাস পর লঞ্চ চলাচল শুরুর প্রস্তুতি নিয়েছেন মালিকরা। এ লক্ষ্যে গত ২ মাসে ধুলোবালী জমে যাওয়া লঞ্চগুলো ধোয়া-মোছা শুরু করেছেন সংশ্লিস্টরা। কাউন্টারগুলোতে গতকাল থেকে পূর্বের দামেই শুরু হয়েছে কেবিনের আগাম টিকেট বিক্রি। প্রতিটি লঞ্চ কোম্পানীর টিকেট কাউন্টার দির্ঘ ২ মাস পর প্রান ফিরে পেয়েছে। যাত্রীদের শারীরিক দূরত্ব রক্ষা করে টিকিট সংগ্রহ করতে দেখা গেছে। সংশ্লিষ্ট লঞ্চ কর্তৃপক্ষও টিকিট বিক্রিতে স্বাস্থ্যবিধি মানার ওপর জোর দিয়েছে।

যাত্রীরা বলছেন, জীবন-জীবিকার প্রয়োজনেই কাজে নামতে হচ্ছে তাদের। যতকুটু সম্ভব তারা সতর্ক এবং সচেতন থাকছেন। তাদের মতে, জনগন সচেতন হলেই করোনা এড়ানো সম্ভব। সচেতন না হলে সরকার যত কড়াকড়ি করুক না কেন স্বাস্থ্য বিধি মানানো সম্ভব নয়।

বরিশাল-ঢাকা রুটের এমভি কীর্তনখোলা লঞ্চ কোম্পানীর সহকারী মহাব্যবস্থাপক মো. বেল্লাল হোসেন বলেন, কাউন্টারে যাত্রীদের সামাজিক দূরত্ব রক্ষা করে টিকিট বিক্রি করছেন তারা। এ ছাড়া কাউন্টারে রাখা হয়েছে হ্যান্ড স্যানিটাইজারসহ জীবাণুনাশক সব ব্যবস্থা। বরিশাল-ঢাকা রুটের সুন্দরবন লঞ্চ কোম্পানীর পরিচালক আক্তার হোসেন আকেজ বলেন, দির্ঘদিন বন্ধ থাকায় লঞ্চগুলোতে ধুলোবালি জমেছে। তারা সেগুলো পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন সহ ধোয়া-মোছা করে যাত্রীদের ব্যবহার উপযোগী করছেন। স্বাস্থ্য বিধি মেনে লঞ্চ চালানোর জন্য নানা পদক্ষেপ নেয়ার কথা বলেন তিনি। লঞ্চ মালিক সমিতি কেন্দ্রিয় কমিটির সদস্য ও মেসার্স সালমা শিপিং লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মঞ্জুরুল আহসান ফেরদৌস বলেন, স্বাস্থ্য বিধি মানতে হলে আগের চেয়ে যাত্রী পরিবহন প্রায় অর্ধেক কমিয়ে দিতে হবে। কেবিন যাত্রীদের ক্ষেত্রে নতুন কোন নিয়ম প্রয়োজন না হলেও ডেক যাত্রীদের আগাম টিকেটে কেটে লঞ্চে উঠানো হবে। সরকার সহযোগীতা করলে আগাম টিকেটে কেটে লঞ্চে যাত্রী তোলা হলে স্বাস্থ্য বিধিসহ শৃঙ্খলা মানা সম্ভব বলে মনে করেন তিনি। বরিশাল বিআইডব্লিউটিএ’র যুগ্ম পরিচালক (বন্দর ও পরিবহন) আজমল হুদা মিঠু সরকার বলেন, সরকার শারীরিক দূরত্বসহ স্বাস্থ্যবিধি মানার শর্তে যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচলের অনুমতি দিয়েছে। লঞ্চগুলোতে পর্যাপ্ত হ্যান্ড স্যানিটাইজার সহ জীবানুনাশক ব্যবস্থা  থাকতে হবে। যারা সরকারের এই নির্দেশ মানবে না তাদের রুটে চলতে দেয়া হবে না বলে হুঁশিয়ার দিয়েছেন তিনি।  এদিকে দীর্ঘ ২ মাস পর বরিশাল থেকে অভ্যন্তরীণ এবং বিভিন্ন দূরপাল্লা রুটেও স্বাস্থ্য বিধি মেনে বাস চলাচালের প্রস্তুতি নিয়েছেন মালিক-শ্রমিকরা। এই লক্ষ্যে বাসগুলো ধোয়া-মোছাসহ যাবতীয় প্রস্তুতি নেওয়ার কথা জানিয়েছেন বাস মালিক-শ্রমিকরা।

সর্বশেষ খবর