চট্টগ্রাম নগরের বায়েজিদ-ফৌজদারহাট সিডিএ লিংক রোডের দুই পাশের ১৬টি পাহাড়ে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা প্রায় ৩৫০টি ঝুঁকিপূর্ণ ঘর অপসারণ, উচ্ছেদ কাজে বাধা দেওয়া ও পাহাড়ের ঝুঁকিপূর্ণ স্থাপনা কাজে দায়িত্বরত সরকারি টিমের সদস্যকে আক্রমণ করায় ১০ জনকে গ্রেফতার ও সাত দিন করে দ এবং বিদ্যুতের ৩০টি মিটার জব্দ করা হয়। একই সঙ্গে বিনা মালিকানার এসব পাহাড়ে কীভাবে বিদ্যুৎ মিটার সংযোগ দেওয়া হলো তার বিরুদ্ধে প্রশাসনিক তদন্ত করা হবে। চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেনের নির্দেশে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত পাঁচজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বিরতিহীন অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানে নেতৃত্ব দেন সীতাকুন্ড উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিল্টন রায়, জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তৌহিদুল ইসলাম, আবদুস সামাস শিকদার, মামনুন আহমেদ অনীক ও মো. শরীফ হোসেন। পরিবেশ অধিদফতরের পক্ষে ছিলেন পরিচালক (অঞ্চল) মোয়াজ্জেম হোসেন, পরিচালক (মেট্রো) নুরুল্লাহ নূরী, উপ-পরিচালক মিয়া মাহমুদ, রেলওয়ের পক্ষে ছিলেন এস্টেট অফিসার মাহবুবুল আলম। অভিযানে বায়েজিদ এবং সীতাকুন্ড প্রান্ত দুই দিক থেকে দুটি টিম ঝুঁকিপূর্ণ স্থাপনা অপসারণ কার্যক্রম শুরু করে। প্রায় ৭ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে পরিচালিত অভিযান এশিয়া উইমেন ইউনিভার্সিটি এলাকায় শেষ হয়। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ‘নগরে প্রতিবছরই বর্ষা মৌসুমে ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড় ধসে দুর্ঘটনা ঘটে।
এ বছর নবনির্মিত সিডিএ লিংক রোডের দুই ধারে ১৬টি পাহাড়ে করোনাভাইরাস দুর্যোগ পরিস্থিতিতে বিগত এপ্রিল-মে মাসে পাহাড় কেটে ব্যক্তিগত ও সরকারি জমিতে (রেলওয়ের জমি ও খাস জমি) প্রচুর নতুন ঘর গড়ে তুলেছে। যা চরম ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে। ঝুঁকি এড়াতে অভিযান পরিচালনা করা হয়।