শুক্রবার, ২৬ জুন, ২০২০ ০০:০০ টা
লকডাউন

অসহায় আক্রান্ত ও পার্শ্ববর্তীরা

সাইদুল ইসলাম, চট্টগ্রাম

অসহায় আক্রান্ত ও পার্শ্ববর্তীরা

চট্টগ্রামে লকডাউন এলাকার বাসিন্দারা এক প্রকার অসহায় হয়ে পড়েছে। বাইরের কারোর সহযোগিতায় নিত্যপ্রয়োজনীয় খাবার সরবরাহেও বাধার সৃষ্টি হচ্ছে প্রতিনিয়ত। এতে লকডাউনে থাকা আক্রান্ত ও পাশ্বববর্তী বাসিন্দারাও খাবারসহ নানাবিধ সংকটের মধ্যে পড়েছেন। চট্টগ্রামের দ্বীপ উপজেলা সন্দ্বীপের একই পরিবারের ৭ সদস্য কভিড-১৯ পজেটিভ হলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সম্পূর্ণ বাড়ি লকডাউন করে দেওয়া হয়। এ অবস্থায় আত্মীয়-স্বজন, পরিচিতজনদের মাধ্যমে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য সংগ্রহ করতে চাইলে বাধার মুখে পড়ে আক্রান্ত ও পার্শ্ববর্তী বাসিন্দারা। প্রশাসনের পক্ষ থেকে লকডাউনে থাকা বাসিন্দাদের সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেওয়া হলেও স্থানীয় প্রভাবশালীদের বাধার মুখে নিত্যপণ্য ও জরুরি ওষুধ সংগ্রহ করতে পারছে না ভুক্তভোগীরা। একইভাবে চট্টগ্রামের নগর ও জেলার বিভিন্ন উপজেলার কয়েকটি এলাকায় এমন ঘটনা ঘটেছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। সন্দ্বীপ উপজেলা নির্র্বাহী অফিসার বিদর্শী সম্বৌধি চাকমা বলেন, স্থানীয় কয়েকজন লোক বিষয়টা না বুঝে একটু বাধার সৃষ্টি করেছিল। এখন পরিস্থিতি ঠিক হয়ে গেছে। আক্রান্তরা সরকারি নির্দেশনায় লকডাউনে থাকতে হবে।

সারিকাইত ইউনিয়নের একটি পরিবারের ৭ জন সদস্য করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়েছে। তিনি বলেন, স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে আক্রান্ত পরিবার ও তাদের প্রতিবেশীদের লকডাউনকালীন সময়ে সব ধরনের সহযোগিতার নির্দেশনা দিয়েছি। এরপরও কেউ যদি আক্রান্ত পরিবার ও তাদের প্রতিবেশীদের সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করে প্রশাসনিকভাবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

ক্ষোভের সঙ্গে হরিবলি’র বাড়ির বাসিন্দা শিক্ষক বিকাশ সাহা অভিযোগ করে বলেন, প্রশাসনিক নির্দেশে আমরা সম্পূর্ণ লকডাউনে রয়েছি। কিন্তু ১১টি পরিবারের জন্য নিত্যপণ্য ও জরুরি ওষুধ সংগ্রহে বাধার সম্মুখীন হচ্ছি। প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহযোগিতার আশ্বাস দেওয়া হলেও স্থানীয় কিছু মানুষের অমানবিক আচরণে আক্রান্ত ও প্রতিবেশীরা কঠিন সময় পার করছেন।

সর্বশেষ খবর