শুক্রবার, ২৬ জুন, ২০২০ ০০:০০ টা

সামাজিক দূরত্ব মেনেই বসবে কোরবানির হাট

-স্থানীয় সরকার মন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, করোনাভাইরাস মহামারীকালে এবার ক্রেতা-বিক্রেতা সবাইকেই বাধ্যতামূলকভাবে মাস্ক পরে হাটে যেতে হবে। সব ধরনের স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব মেনেই নির্দিষ্ট স্থানে এবার পশুর হাট বসানো হবে। এ ছাড়া হাটে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা ছাড়াও জীবাণুনাশক স্প্রে করা হবে। একই সঙ্গে নির্দিষ্ট স্থানে পশু কোরবানি এবং দ্রুততম সময়ের মধ্যে কোরবানির বর্জ্য অপসারণ করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনাও দিয়েছেন। ঈদুল আজহা উপলক্ষে পশুর হাট ব্যবস্থাপনা, নির্দিষ্ট স্থানে পশু কোরবানি এবং দ্রুত বর্জ্য অপসারণ নিশ্চিতকল্পে প্রস্তুতি পর্যালোচনা নিয়ে গতকাল এক ভার্চুয়াল সভায় অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী।

সভায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস ও দেশের অন্যান্য সিটি মেয়র এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও দফতরের কর্মকর্তারা যুক্ত ছিলেন।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে মন্ত্রীর বরাত দিয়ে জানানো হয়েছে, রাজধানীসহ দেশের সব পশুর হাটে স্বাস্থ্যবিধি মেনে, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে নির্দিষ্ট স্থানে পশুর হাট বসানো হবে। তিনি সবার প্রতি অনুরোধ জানিয়ে বলেন, এবার ঈদের দু-এক দিন আগের জন্য অপেক্ষা না করে সবাই যেন আগে আগেই সময় হাতে রেখে পশু কিনে ফেলেন।

তাজুল ইসলাম বলেন, পশুর হাটে প্রবেশকারী সবাইকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সুশৃঙ্খলভাবে লাইনে দাঁড়িয়ে প্রবেশ ও বের হওয়া নিয়ন্ত্রণ করে কেনাবেচা করতে হবে। প্রতিটি পশুর হাটে আসা ক্রেতা-বিক্রেতাদের মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করার পাশাপাশি হাটে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা এবং জীবাণুনাশক স্প্রে করা হবে।

তিনি বলেন, পশুর হাটগুলোতে সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি যে কোনো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য পর্যাপ্ত সংখ্যক ম্যাজিস্ট্রেট এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য প্রস্তুত থাকবে।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, এবার ভিন্ন প্রেক্ষাপটে পশুর হাট এবং ঈদ উদযাপন করতে হবে। এজন্য মানুষের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টিতে টেলিভিশন, রেডিওসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে সচেতনতামূলক প্রচার-প্রচারণা চালানো হবে।

সর্বশেষ খবর