বুধবার, ২ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

অপরাধ নিয়ন্ত্রণে কথিত সোর্স

রয়েছে মাদক ব্যবসা, ছিনতাইসহ নানা অভিযোগ

মুহাম্মদ সেলিম, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামে অন্ধকার জগতে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কথিত সোর্সরা। মাদক ব্যবসা, ছিনতাই ও পকেটমার চক্রের নিয়ন্ত্রণসহ নানান অপকর্মের অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। চাহিদা মতো চাঁদা না দিলে ‘ফিটিং’ মামলায় ফাঁসিয়ে ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষকে হয়রানির অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সোর্সদের নিয়ন্ত্রণের কথা বারবার বলা হলেও এসব নির্দেশনাকে কেয়ার করে অপরাধ জগতে অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছে তারা। সিএমপি’র কমিশনার মাহাবুবর রহমান বলেন, ‘কিছু সোর্সের বিরুদ্ধে নানান অভিযোগ ওঠার পর তাদের গ্রেফতার করে শাস্তির আওতায় আনা হয়েছে। আগামীতে যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’ নাম প্রকাশ না করার শর্তে সিএমপির এক উপকমিশনার বলেন, অপরাধী শনাক্ত, মামলার তদন্ত এবং অপরাধ আখড়ার সন্ধান দেওয়ার কথা বলে কথিত সোর্সরা পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে সখ্য গড়ে। এক সময় দেখা যায় তারা এ সম্পর্ক ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিলের জন্য ব্যবহার করছে। অনেক সোর্স আবার অপরাধ আখড়ার নিয়ন্ত্রকও হয়ে ওঠে। এসব সোর্সের কারণে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিব্রতও হতে হয়। সম্প্রতি সোর্স সৃষ্টি কয়েকটি কাজের কারণে পুরো সিএমপির ভাবমূর্তি সংকটে পড়েছে। আবার সোর্সের ভুল তথ্যের কারণে অনেক পুলিশ সদস্যকে মামলারও আসামি হতে হয়েছে। জানা যায়, চট্টগ্রাম মহানগর ও জেলার বিভিন্ন থানায় অপরাধী শনাক্ত এবং অপরাধ আখড়ার বিষয়ে তথ্য পেতে কথিত সোর্স নিয়োগ করলেও পরবর্তী এসব সোর্সরাই হয়ে উঠেছে অপরাধের নিয়ন্ত্রণ। মাদক ও অনৈতিক কর্মকা-ের আস্তানা পরিচালনা, ডাকাতি, ছিনতাই, পকেটমার, অজ্ঞান পার্টিসহ বিভিন্ন অপরাধ চক্রের সঙ্গে আঁতাতসহ নানান অভিযোগ রয়েছে এসব সোর্সদের বিরুদ্ধে। বিভিন্ন চোরাই সিন্ডিকেটের সঙ্গে আঁতাত, মাদক পরিবহন, চাহিদা মতো চাঁদা না দিলে হয়রানিমূলক মামলা দিয়ে ফাঁসিয়ে দেওয়াসহ অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে কিছু কিছু সোর্সের বিরুদ্ধে। কিছু সোর্সের বিরুদ্ধে খুন ও ধর্ষণের অভিযোগও রয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর